চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় নিখোঁজের পর হত্যার শিকার ৫ বছর বয়সী আলিনা ইসলাম আয়াতের মরদেহের আরেকটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অংশটি আয়াতের মাথা বলে চিহ্নিত করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আকমল আলী সড়ক এলাকার সাগরপাড় স্লুইজ গেটের পাশ থেকে খণ্ডিত অংশটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক ইলিয়াস খান।
তিনি বলেন, ‘সকালে জেলেরা মাথাটি পেয়ে আমাদের জানায়। আমরা এটি উদ্ধার করে পরিবারকে জানালে তারা নিশ্চিত করে যে এটি আয়াতেরই মাথা। গতকাল তার যে দুটি পা উদ্ধার হয়েছিল, সেসব মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ উদ্ধার হওয়া মাথাও মর্গে পাঠানো হবে। সব কিছুরই ময়নাতদন্ত হবে।’
এর আগে বুধবার একই এলাকা থেকে আয়াতের দুটি পা উদ্ধার করে পিবিআই।
১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এই ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।
নিখোঁজের ৯ দিন পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িত সন্দেহে আয়াতের পরিবারের ভাড়াটিয়া আবির আলীকে আটকের কথা জাানায় পিবিআই। পিবিআইয়ের দাবি, আটকের পর আয়াতকে খুন ও লাশ গুম করার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। মূলত ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে আয়াতকে অপহরণ চেষ্টার সময় শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি।
এরপর শনিবার প্রথমবার আবিরকে ২ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। আবিরকে নিয়ে আয়াতের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারে সাগরপাড়ে নিষ্ফল অভিযান পরিচালনা করে পিবিআই। এরপর সোমবার আবিরকে দ্বিতীয় দফায় ৭ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডের প্রথম দিন মঙ্গলবার আবিরের মা-বাবার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই দিন প্রবেশন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে আবিরের ১৫ বছর বয়সী বোনকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডের প্রথম দিনে আয়াতের খণ্ডিত মরদেহের খোঁজে সাগরপাড় এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় একটি জলাশয় পানিশূন্য করা হয় বলে জানান পরিদর্শক ইলিয়াস খান।