গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান সংশোধনের অগ্রগতি জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দেয়া চিঠির জবাব দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ। বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়ে দীর্ঘ তিন মাস পর অবশেষে এই জবাব পেল ইসি।
আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান নূর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মঙ্গলবার এ জবাব দেয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক আসাদুজ্জামান আরজু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) খসড়া প্রস্তাবের পর গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পাঠানো ইসির দুটি চিঠি উপেক্ষা করা হয়। কমিশন সবশেষ চিঠিতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে সময় বেঁধে দিয়েছিল। অবশেষে সেই চিঠির জবাব মিলেছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যমান আরপিওতে বেশকিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হয়। ভোট বাতিলে ইসির ক্ষমতা ও ভোট বন্ধে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ক্ষমতা বাড়ানো, প্রার্থীর এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখালে বা কেন্দ্রে যেতে বাধা দিলে শাস্তির বিধান, সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে শাস্তি, দলের সর্বস্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব রাখতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় দেয়া, দায়িত্বে অবহেলায় কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতা বাড়ানো, প্রার্থীদের আয়কর সনদ জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করাসহ বেশকিছু বিষয়ে সংস্কার চায় বর্তমান কমিশন৷
মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, ‘আরপিও-এর সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নীতিনির্ধারণী বিষয়। সংবিধান ও বিদ্যমান আরপিও-এর বিধানগুলোর সঙ্গে ওইসব প্রস্তাব সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সে বিষয়সহ সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম চলমান।
‘রুলস অফ বিজনেস, ১৯৯৬ এবং অ্যালোকেশন অফ বিজনেস অ্যামং দ্য ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড অনুযায়ী, প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো বিল আকারে প্রস্তুতপূর্বক নীতিগত/চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপনসহ জাতীয় সংসদে উত্থাপনের জন্য যাবতীয় কার্যক্রম লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ওপর ন্যস্ত।
‘লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে সর্বদা সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে। ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন থেকে আরপিওসহ নির্বাচন সংক্রান্ত অন্য যেসব আইন, বিধি, প্রবিধি, প্রজ্ঞাপন ইত্যাদি নতুনভাবে প্রণয়ন বা সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সেসব প্রস্তাব সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সূচারুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।’
আইন মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আরপিও-এর প্রস্তাবিত সংশোধনগুলোর ওইরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া মাত্রই বিল আকারে প্রস্তুতপূর্বক নীতিগত/চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’