বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিত্যক্ত কূপ থেকেই জাতীয় গ্রিডে ৭০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস!

  •    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ২০:৩৯

এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে এই কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন (৭০০ কোটি) ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে কূপটি দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম।

প্রায় পাঁচ বছর পরিত্যক্ত ছিল সিলেটের বিয়ানীবাজর গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ। এবার এই কূপ থেকেই নতুন করে গ্যাস-সংযোগ দেয়া হয়েছে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে।

সোমবার সন্ধ্যায় এই সংযোগ দেয়া হয়। প্রথম দিন থেকেই এই সংযোগের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে প্রতিদিন ৮০ লাখ (৮ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস।

সরবরাহ শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল প্রামাণিক বলেন, ‘সকাল থেকেই সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরুর কথা ছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে আজ সারা দিন আমরা গ্যাস ফ্লো আউট করি। এরপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ শুরু করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে রোববার বিকেলে আমরা পরীক্ষামূলক সব কাজ সম্পন্ন করি। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার (টেস্টিং) কাজও রোববার সম্পন্ন হয়।’

১ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের পাশাপাশি একই গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকেও প্রতিদিন ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

এসজিএফএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রটি সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধীন। এই গ্যাসফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরেরই শেষ দিকে তা আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই এই কূপটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ওই কূপে নতুন অনুসন্ধান চালিয়ে আবারও গ্যাসের মজুত পায়। ১০ নভেম্বর ওই কূপে গ্যাসের মজুতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়।

এসজিএফএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে এই কূপের ৩ হাজার ২৫৪ মিটার গভীরে ৭০ বিলিয়ন (৭০০ কোটি) ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুত আছে। গ্যাসের চাপ পরীক্ষার পর দেখা গেছে কূপটি দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম।

‘তবে কারিগরি বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল ঘনীভূত তরল (কনডেন্সড) গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

দেশে গ্যাস সংকটের সময়ে এ কূপ থেকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহ একটি আনন্দের সংবাদ উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপও চলছে। সেই জরিপ থেকে নতুন গ্যাস ফিল্ড পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘২০২৫ সাল নাগাদ দেশের সব কোম্পানি প্রায় ৪৬টি কূপ খননের মাধ্যেমে ৬১ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

বর্তমানে এসজিএফএল এর আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। এগুলো হলো- হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড।

এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর ১২টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর