কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাদক মামলায় দুই কারবারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.সায়েদুর রহমান খান বুধবার বেলা ৩টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার দক্ষিণ জাংগিরাই গ্রামের আব্দুল মালেক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগরের মোখলেছুর রহমান।
রায় ঘোষণার সময় ২ নম্বর আসামি মোখলেছুর রহমান উপস্থিত থাকলেও আব্দুল মালেক ছিলেন পলাতক।
কিশোরগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট মো. আবু সাঈদ ইমাম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সন্ধায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা জানতে পারেন আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে একটি ফেনসিডিলের চালান ঢাকার দিকে যাবে। সেই সংবাদের ভিক্তিতে রাত থেকেই ভৈরবের দুর্জয় মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়। পরদিন সকালে খাঁটিহাতা এলাকায় ফাহাদ ফিলিং স্টেশনের সামনে দিয়ে ক্রস করে যাওয়ার সময় একটি প্রাইভেটকারকে অনুসরণ করে করেন তারা।
পরে দুর্জয় মোড় এলাকায় প্রাইভেটকারটি থামিয়ে তল্লাশি করে পেছনের ডালার ভিতর থেকে ৮০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে প্রাইভেটকারে থাকা দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
এদিন রাতেই র্যাবের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম সরদার বাদী হয়ে ভৈরব থানায় আব্দুল মালেক ও মোখলেছুর রহমানকে আসামি করে একটি মাদক মামলা করেন। পরদিন ১ নভেম্বর আসামি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মাজহারুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর আব্দুল মালেক ও মোখলেছুর রহমানকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরে জামিনে বের হয়ে আব্দুল মালেক পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে।