শেষবারের মতো মায়ের মুখ মেয়েকে দেখতে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিজিবি ও ভারতীয় বিএসএফ।
গত শনিবার মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস বিজিবি ক্যাম্পের অধীনে ১০১ নম্বর সীমান্তের মেইন পিলারের কাছে মায়ের মরদেহ দেখার সুযোগ পান বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশে বসবাসকারী আমিরা খাতুন।
রোববার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। পরে সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা ব্যাটেলিয়ন ৬ বিজিবি ক্যাম্প পরিচালক শাহ মো. ইশতিয়াক আহমেদ বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঘটনার দিন ৬ বিজিবি ক্যাম্পের অধীনে পরিচালিত আনন্দবাস বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডের কাছে একটি মানবিক আবেদন আসে। তাতে জানানো হয়, ভারতীয় সীমান্তে মারা যাওয়া মাকে শেষবারের দেখতে চান বাংলাদেশে বসবাস করা মেয়ে।
ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘আমারা বিষয়টি ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের জানালে তারাও এতে সম্মতি দেন। পরে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে গতকাল (শনিবার) বিকেল ৩টার পর ১০ মিনিটের জন্য মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দেয়া হয় মেয়েকে।’
তিনি জানান, আবেগঘন সেই মুহূর্তে উপস্থিত স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে ৯০ বছর বয়সে মারা যাওয়া মায়ের মরদেহ নিয়ে তাদের একাংশ ভারতের দিকে চলে যান।
বিজিবি ক্যাম্প পরিচালক বলেন, ‘এ ঘটনা দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করবে। সীমান্তে বসবাস করা দুদেশের মানুষের মধ্যেও বন্ধত্বপূর্ণ মানসিকতা তৈরি করবে।’
স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের উজ্জল শেখের সঙ্গে ভারতীয় নাগরিক আমিরা খাতুনের বিয়ে হয় ২০ বছর আগে। হঠাৎ ভারত থেকে খবর আসে, আমিরার মা ওয়াছেন বিবি মারা গেছেন।
সেই সংবাদ পেয়ে মৃত মাকে শেষবারের মতো দেখতে আনন্দবাস বিজিবি ক্যাম্পে আবেদন করেন আমিরা খাতুন।