বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই শরীফের বিরুদ্ধে ‘অসততার’ অভিযোগ

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ২২:২৩

কেজিডিসিএল-এর অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘নগরীর আকবর শাহ এলাকায় শরীফের শাশুড়ির বাসার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সনদ দেখিয়ে নিজের ভাই শিহাব উদ্দিনকে কেজিডিসিএল-এ ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে অস্থায়ী নিয়োগের ব্যবস্থা করেন।’

দুদক থেকে অপসারিত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারই করা বিভিন্ন মামলার তিন আসামি।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বুধবার বিকেলে তারা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, শরীফ দুদকে থাকা অবস্থায় নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন; হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলায় তাদের ফাঁসিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলন করা তিনজন হলেন- কেজিডিসিএল-এর অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. সারওয়ার হোসেন, একই প্রতিষ্ঠানের সার্ভেয়ার দিদারুল আলম ও আরএফ বিল্ডার্সের মালিক দেলোয়ার হোসেন।

তাদের মধ্যে সারওয়ার ও দিদারুলের বিরুদ্ধে গ্যাস জালিয়াতি এবং দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছিলেন দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন।

সারওয়ারের বিরুদ্ধে নূরজাহান নামে এক নারীর জন্য বরাদ্দ গ্যাসের সংযোগ সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমানের বাড়িতে দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছিল।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নগরীর আকবর শাহ এলাকায় শরীফের শাশুড়ির বাসার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সনদ দেখিয়ে নিজের ভাই শিহাব উদ্দিনকে কেজিডিসিএল-এ ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে অস্থায়ী নিয়োগের ব্যবস্থা করেন।

‘শুধু তাই নয়, শিহাবের চাকরী স্থায়ী করার জন্য কর্মকর্তাদের চাপও দিতেন। এক নিকটাত্মীয়কেও কেজিডিসিএল-এ গাড়িচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।’

কক্সবাজারের বেলায়েত হোসেন নামে এক দালালের মাধ্যমে শরীফ ঘুষ নিতেন বলে দাবি সারওয়ারের। তিনি অভিযোগ করেন, কেজিডিসিএলের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিও আটকে রাখতেন শরীফ, অবৈধভাবে কর্মকর্তাদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করতেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরএফ বিল্ডার্সের মালিক দেলোয়ার দাবি করেন, প্রবাস জীবনের বৈধ আয় দিয়ে তিনি সম্পদ উপার্জন করেছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মিথ্যা মামলা দিয়েছেন শরীফ। মূলত চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকায় তার মালিকানাধীন দুটি দোকান নিতে চেয়েছিলেন শরীফ।

তাতে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ দেলোয়ারের।

এসব বিষয়ে শরীফ বলেন, ‘তারা আমার মামলার আসামি। মামলাগুলো যেহেতু দুদকের অনুমোদনের হয়, তাই মূলত তারা দুদকের মামলার আসামি। মামলাগুলো এখনো চলমান। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।

‘আসামিরা অনেক কিছুই বলে। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া অন্যায়ভাবে কারও বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ নেই।’

তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নাকচ করে শরীফ বলেন, ‘শাশুড়ির বাসার গ্যাসের কথা বললো, সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রয়োজনে একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন। আর ভাই তো কেজিডিসিএলে ছিল না, সে মূলত কেজিডিসিএলের অধীনে একটা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী হিসেবে ছিল। তার সেখানে চাকরি কেন লাগবে? সে তো রেলওয়েতে পোষ্য কোটায় চাকরির জন্য অপেক্ষমান ছিল।

‘আর ঘুষের কথা বলছে। বেলায়েত আসলে নিজেই মামলার আসামি। তার সঙ্গে আমার খাতির থাকলে সে কীভাবে আসামি হয়?’

পদোন্নতি আটকে রাখার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেজিডিসিএলের কোনো কর্মকর্তার পদোন্নতির বিষয়ে কোনো চিঠি কখনও আমার হাতে পড়েনি। ৩ বছর পদোন্নতি আটকে রাখার মতো এত ক্ষমতা আছে নাকি আমার?’

দায়িত্বরত অবস্থায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া, সরকারি প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে দুর্নীতিসহ নানা স্পর্শকাতর বিষয়ে অনুসন্ধান ও মামলা করে আলোচিত হন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন।

চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করে দুদক।

এ বিভাগের আরো খবর