কক্সবাজারের টেকনাফে সাগর পথে মানব পাচারের সময় বিশেষ অভিযানে পাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেসময় মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে মানব পাচারের একটি বড় প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)।
বিজিবি জানায়, দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি মানব পাচার ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে তারা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গত বুধবার গভীর রাতে বিজিবির অভিযানে ৮০ জন পাচারের ব্যর্থ করে দিয়ে পাঁচ পাচারকারীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, সৈয়দ আলম (২৯), পিতা এখলাছ মিয়া
মো. আব্দুল্লাহ (২২), পিতা ইয়াহিয়া, মো. রিদুয়ান হোসেন (২০), পিতা ইউনুস আলী, মো. নুরুল আফসার (২০), পিতা কেফায়েত উল্লাহ, মো. আ. হাকিম (৪০), পিতা মৃত দিল মোহাম্মদ। সকলের বাড়ি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরি এলাকার মিঠাপানিরছরায়।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান, ‘মানবতা ও দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তে মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামিকে স্থানীয় থানায় মামলা রুজু করে হস্তান্তর করা হয়েছে ‘
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা মানব পাচার চক্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে চক্রের আরও কয়েকজন সক্রিয় সদস্য পালিয়ে গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন, সাইফুল (৪০), মোস্তাফা ওরফে গোরাইয়া (২০), নুর আলম (৩০) ও সামসু (৪৫)।
চলতি বছর এ পর্যন্ত টেকনাফ ব্যাটালিয়নের বিশেষ অভিযানে ৪৭জন মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। এখনও অন্তত ২১ জন আসামি পলাতক রয়েছে।