রংপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ আদেশ দেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ওই আসামির নাম সোহেল রানা ওরফে শরিফুল। নগরীর ধাপ মোহাম্মদপুর আটিয়াটারী এলাকার বাসিন্দা তিনি।
আদালত পরিদর্শক মীর আতাহার আলী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্র জানায়, সোহেল রানার সঙ্গে ২০১৫ সালে একই গ্রামের সুলতানা পারভীনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ২০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ও গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র উপহার দেয়া হয়। পরে যৌতুক হিসেবে এক লাখ টাকা দাবি করেন সোহেল। সেই টাকা না দেয়ায় প্রায়ই পারভীনকে মারধর ও নির্যাতন করতেন সোহেল।
বিয়ের ছয় মাস পর সুলতানা পারভীনকে তার বাবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় চলে যান সোহেল। তবে মুঠোফোনে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। ঘটনার আগের দিন রংপুরে আসে সোহেল। ২০১৭ সালের ২৭ জুন রাতের খাওয়ার পর সুজা ও তার মেয়েসহ বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন ভোরে মেয়ে সুলতানাকে ঘরে না পেয়ে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজখবর নিতে থাকেন সুজা।
এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির অদূরে একটি পাটক্ষেতে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকা সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
এ ঘটনায় সোহেলসহ তার পরিবারের নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন সুলতানার বাবা সুজা। পরে পুলিশ তদন্ত করে অন্যদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় শুধু সোহেল রানার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কৌঁসুলি খন্দকার রফিক হাসনাইন বলেন, ‘প্রায় চার বছর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর রায় ঘোষণা করা হয়। এ রায়ে আমরা খুশি।’