বান্দরবান জেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা কীভাবে নিহত হলেন এবং কোন মাদক কারবারিরা তার ওপর গুলি ছুড়ল, এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২২-এর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার রাতে বান্দরবান জেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের সময় চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা নিহত হন। আহত হন এক র্যাব সদস্য।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার খবরের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়েছিল। দুর্ঘটনাবশত একজন অফিসার সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন এবং কোন মাদক কারবারিরা তাকে গুলি ছুড়ল, এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করে আমরা পরে জানাব।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে রোহিঙ্গা মাদক কারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। যখন এ ধরনের অভিযানে যাওয়া হয় তখন গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনামাফিক অভিযান হয়ে থাকে।’
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সোমবার গভীর রাতে এক বিবৃতিতে জানায় ‘র্যাব এবং ডিজিএফআইর মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে সোমবার মাদক চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবান জেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ হয়।
‘মাদক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে এই সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইর একজন কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন এবং র্যাবের একজন সদস্য আহত হন।’
ওই ঘটনায় আহত র্যাব সদস্য কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়ার অবস্থার অবনতি হলে রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে তার মাথায় অস্ত্রোপচার হয়।