বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তানু ভুঁইয়া হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি ফরিদসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহার হওয়া একটি পিস্তল, ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশ শনিবার রাতে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার বালিপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় রাতেই নিহতের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাগেরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাট শহরের পূর্ব বাসাবাটি এলাকার ফরিদ শেখ, একই এলাকার মো. মনির, মো. রাতুল, মো. সিরাজুল, মো. আলামিন, মো. সুমন, মুকুল শেখ ও সদর উপজেলার কাড়াপাড়া এলাকার মো. সোহাগ। এরা সবাই এজাহারভুক্ত আসামি। এর বাইরে মো. কবির নামে আরও একজনকে সন্দেহের জেরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসপি আরিফুল রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, নিহত ব্যক্তি ও আসামিরা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। প্রাথমিক তদন্তে আমরা যেটা জানা গেছে মাদক কারবার নিয়ে বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার বগা ক্লিনিক মোড় এলাকায় শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গুলি করে হত্যা করা হয় নুরে আলম তানুকে। তানু শহরের বাসাবাটি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসার আগে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি।
শনিবার দুপুরে জানাজা শেষে সরুই কবরস্থানে দাফন করা হয় সাবেক এ ছাত্রনেতাকে।