রাজনীতির মাঠে পরিচতি দুটি শব্দ ‘খেলা হবে’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সচিবালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা একটা পলিটিক্যাল হিউমার, এটা যে পাবলিক অ্যাকসেপ্ট করেছে...ওই ফুল বেচে বাচ্চা, আমার গাড়ি দেখেই বলে খেলা হবে...এটা মানুষ অ্যাকসেপ্ট করে ফেলেছে।
‘খেলা হবে কথাটা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্লোগান ছিল। খেলা হবে মমতা ব্যানার্জি বলছেন, নরেন্দ্র মোদিও বক্তব্যের শুরুতে বলেছেন খেলা হবে, সে একটু হিন্দি টোনে। কিন্তু সেখানে পুরো ইলেকশনটি ডমিনেট করেছে খেলা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে স্লোগানটা দিচ্ছি সেটা হচ্ছে বাংলাদেশে অতীতে যারা দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, হাওয়া ভবন এসব যেন আর না হয়, খুনিদের পুরস্কৃত করা- এসবের বিরুদ্ধে আমরা বলছি খেলা হবে।
‘এটা একটা মোরাল পোস্টারের স্লোগান এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও আমাদের একটা অবস্থান আছে। এ কারণেও বলা হয়েছে। উইকিপিডিয়া আছে। সেখানে আপনারা একটু দেখুন, সেখানেও এই খেলা হবে আছে।’
‘খেলা হবে’ শব্দ দুটির ব্যবহার শুরু করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ওই বক্তব্য নিয়ে তিনি জানান, স্লোগানটি দেয়া হয়েছিল ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে।
ইউটিউবে তার খেলা হবে বক্তব্য নিয়ে অনেক ভিডিও পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটিতে তাকে বিএনপির উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘এত দিন চুপ ছিলাম। ধৈর্যের একটা সীমা আছে। রাজপথ দখল করবেন করেন। আমরা বসে আছি তোমাদের সঙ্গে খেলার জন্য। রাজাকারের সন্তানদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের খেলা হবে। সে খেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরাই জিতবে।’
এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অনেকেই ব্যবহার করেছেন ওই স্লোগান। দেশের সীমানা পেরিয়ে এই স্লোগান পৌঁছে গেছে ভারতেও।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া হবে না, এটা তারা বলছে; বলুক। আমার তো মনে হয় তারা শেষ পর্যন্ত যত কিছুই বলুক, নির্বাচনের প্রস্তুতিও তারা নিয়ে ফেলেছে। কোথায় কত টাকাপয়সা দেবে, সব কিছুর খোঁজখবর তো আমাদের আছে।
‘টাকার উৎসও আমরা জানি। এই ইলেকশনে কারা কত দেবে, সেগুলো মোটামুটি একটা হিসাব তারা করে ফেলছেন। শেষ পর্যন্ত আমার বিশ্বাস তারা ইলেকশনে আসবে।’