ফতুল্লায় একটি রেকর্ডিং স্টুডিওতে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন একই পরিবারের ৫ জন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালপুরে মার্ক ভিডিও রেকর্ডিং নামে ওই স্টুডিওতে সোমবার দুপুরে বিস্ফোরণটি ঘটে।
বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন স্টুডিও মালিক এস এ শামীম, তার ছেলে এস এ ভাবন, মো. মাহিন ও শামীমের দুই শিশু নাতনি।
এদের মধ্যে ভাবন ও মাহিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাসার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
বাসার জানান, দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে দুই যুবককে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। শিশুসহ অন্য তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ও শামীমের প্রতিবেশী রুহুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্থানীয় গায়ক শামীমের বাসভবনেই ছিল রেকর্ডিং স্টুডিওটি। সেখানে গান ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের কাজ চলত।’
রুহুল আমিন আরও বলেন, ‘মার্ক ভিডিও রেকর্ডিং নামে ওই স্টুডিওতে সোমবার বেলা ১টার দিকে হঠাৎ এসি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শামীম, তার পুত্র, নাতনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন।’
এস এ শামীমের বড় ছেলে মো. সাজু বলেন, ‘বাড়ির দোতলায় বিকট শব্দ শুনে দ্রুত নেমে দেখি দক্ষিণ পাশের রুমের দরজা এবং জানালার কাঁচ ভেঙে ভেতর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। রুমটির ভেতরে গিয়ে দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রিজাউল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল বিস্তারিত খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’