সকাল আটটা চল্লিশ। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে ৩৭ নম্বরে জামালদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে জীবনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ ভোট দিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন।
তাকে জানানো হয় তিনি ১০৪ নাম্বার কক্ষে তার ভোট প্রয়োগ করবেন কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর মিলছে না তার আঙুলের ছাপ। এ অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে অপেক্ষা করেছেন তিনি।
৮ নম্বর কক্ষের মহিলা ভোটার আঁখি রাজবংশী বলেন, ‘একেকবার একেক কক্ষে ছুটে গিয়েছি। এখন পর্যন্ত জানিনা কোন কক্ষে ভোট দিব।’
সত্তরোর্ধ্ব শামসুল হক জানান, প্রায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় ঘোরাঘুরির পরে তিনি যে কক্ষে ভোট দিবেন তা খুঁজে বের করতে পেরেছেন। তার মতো অনেকে ভোট দিতে এসে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। বুঝতে পারছেন না কে কোন কক্ষে ভোট দিবেন।
এদিকে কেন্দ্রটিতে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩১০০। কক্ষ স্বল্পতার কারণে মাত্র নয়টি বুথে নেয়া হচ্ছে ভোট। ইভিএম জটিলতা এবং কে কোন কক্ষে ভোট দিবেন তা খুঁজে বের করতে দেরি হওয়ায় ভোটগ্রহণে সৃষ্টি হয়েছে ধীরগতির।
বিষয়টি সম্পর্কে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার তানযীমুল ইসলাম বলেন, ‘একটা সময় গ্রামপর্যায়ে কে কোন কক্ষে ভোট দেবে সেটা নির্ধারণ করা হতো, তবে বর্তমানে ভোটার নাম্বার অনুযায়ী সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেজন্য কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
‘ভোটার নম্বার সম্বলিত তালিকা বাইরে টানিয়ে দেয়া হয়েছে এবং প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের কাছেও তা রয়েছে কিন্তু বিষয়টির সঙ্গে এলাকাবাসী পরিচিত না হওয়ায় ভোটগ্রহণে কিছুটা ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি কিছুক্ষণের মধ্যেই সবাই বিষয়টি বুঝে ফেলতে পারবে। যে কয়েকজন ব্যক্তির আঙুলের ছাপ মিলছে না তাদের ক্ষেত্রে পরিচয় নিশ্চিত করে বিকল্প উপায় ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করে হবে।’