যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) নিয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তার সবগুলো সত্য নয় বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। সেই সঙ্গে সবগুলোর জবাবও দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাহিনীটির যেসব সংস্কার করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, সেসব সংস্কারের দায়িত্ব সরকারের। এমনকি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দায়িত্বও সরকারের বলে জানিয়েছেন তিনি।
র্যাব-৯-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দুপুরে র্যাব-৯-এর সদর দপ্তরে সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি এসব কথা বলেন।
সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে ডিজি খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় যেসব অভিযোগ করা হয়েছিল, আমরা তার তদন্ত করেছি। সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে সবগুলো অভিযোগের জবাব দেয়া হয়েছে।’
সংস্থাটির কোনো সদস্য আইনবিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
র্যাব তার নীতিতে অবিচল উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, ‘সংস্থায় কেউ যদি অপরাধ করে সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৭৬ জনের তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে।’
এর আগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার র্যাব ও তার কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর থেকেই সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কাজ করছে বাংলাদেশ।
বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘বান্দরবানের গহিন পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এখনও চলমান। গহিন অরণ্যে শুধু নয়, জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক না কেন, সেখানেই অভিযান চালাবে র্যাব। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাছে র্যাব হবে আতঙ্কের নাম।’
মতবিনিময়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হয়ে র্যাব অবিরাম কাজ করবে।
র্যাব-৯ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন ও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি র্যাব-৯ সব ধরনের দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিগত বন্যায় অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়াসহ নানা সহায়তা দিয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় মেডিক্যাল ক্যাম্প গঠন করে স্বাস্থ্যসেবা, এতিমদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণসহ নানা সমাজসেবামূলক কাজ করছে। ভবিষ্যতেও এসব কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার কথা জানান তিনি।
২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করে র্যাব-৯।