গাইবান্ধার উপনির্বাচনে অনিয়ম এড়াতে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে ভোটারের কোনো গোপনীয়তা নষ্ট হয়নি বলে মন্তব্য করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক আসাদুজ্জামান আরজু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ মন্তব্য করা হয়।
ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে- এ ধরনের বক্তব্য মোটেও সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর।
‘প্রতিটি ভোটারের ভোটদানের গোপনীয়তা রক্ষায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয় ইসি। বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে কোনোক্রমেই ভোটদানের গোপনীয়তা নষ্ট হয় নাই।’
তাই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটে এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য না দিতে অনুরোধ জানিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বানও জানানো হয়।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন নির্বাচন ভবনে বসানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই গোপন কক্ষে অবৈধ ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ও কারচুপি দেখতে পেয়ে একে একে ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করেন নির্বাচন কমিশনাররা।
পরে পুরো উপনির্বাচনের ভোটই বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সৃষ্টি হয় নতুন বিতর্ক।
ইসির বিজ্ঞপ্তিতে এ-সংক্রান্ত ব্যাখ্যায় বলা হয়, ভোটকক্ষের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে কারো কারো বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। প্রকৃত বিষয় হলো গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের নির্বাচনে ভোটকক্ষে ভোটদানের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছিল।
এতে বলা হয়, গোপন কক্ষে ভোটার কাকে ভোট দিলেন তা দেখার কোনো সুযোগ নেই। তবে গোপনকক্ষে ভোটারের সঙ্গে কেউ প্রবেশ করল কি না, কেউ উঁকি দিয়ে দেখে কি না বা পাশে দাঁড়িয়ে কোনো নির্দেশ দিল কি না তা দেখা যায়।