রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের (রি-অ্যাকটর প্রেসার ভেসেল) কাজ শুরু হচ্ছে বুধবার।
গণভবনপ্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দেশে এককভাবে সবচেয়ে বড় প্রকল্পটির দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনাভাইরাস মহামারি ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও নির্ধারিত সময়ে এ কাজ শুরু হওয়া নিয়ে স্বস্তি জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
দ্বিতীয় চুল্লির নির্মাণকাজ শুরুর আগে মঙ্গলবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘কাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধন করবেন। এটা এই কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর পঞ্চমতম ইভেন্ট। এটা থেকে বোঝা যায় কেন্দ্রটি আমাদের দেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’
রূপপুরে গত বছরের ১০ অক্টোবর প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু হয়।
প্রতিটি ইউনিট থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে এই কেন্দ্রে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা রয়েছে। প্রকল্পে অর্থায়ন ও নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে রাশিয়া।
কর্তৃপক্ষের আশা, ২০২৩ সালের মধ্যে রূপপুরের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের কাজে কত শতাংশ অগ্রগতি হলো সেটা ওইভাবে হিসাব করে বলা যায় না। কারণ অনেক কাজ আছে যেটা শেষ হওয়ার পর একটি রিপোর্ট দিতে হয়। সেই রিপোর্ট না হওয়া পর্যন্ত আমরা পেমেন্ট করতে পারি না।’
পুরো কাজটি দুইভাবে হিসাব করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘একটা ফিনানসিয়াল আর একটা ফিজিক্যাল। আমাদের ফিজিক্যাল প্রোগ্রেস ফিনানসিয়াল থেকে অনেক এগিয়ে গেছে।’
রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক শৌকত আকবর আগেই নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল জ্বালানি ইউরেনিয়াম আমদানি শুরু হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বরে। রাশিয়া থেকে আমদানি করা হবে সেই জ্বালানি। এর নিরাপত্তা, পরিবহন ও ব্যবস্থাপনাবিষয়ক নানা অবকাঠামো তৈরির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। যার পুরোটাই হবে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নির্দেশনা মেনে।