একটি তারিখ ঠিক করে রাজপথে বিএনপির সঙ্গে ‘খেলার’ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে রাজপথে ফয়সালা হওয়ার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে এ কথা বলেন কাদের।
বৃহস্পতিবার মোহাম্মাদপুরের বসিলা যাত্রী ছাউনি সংলগ্ন স্থানে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে যান কাদের। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘ফখরুল ইদানীং খুব বেশি জোরে কথা বলছেন। রাজপথেই নাকি তারা ফয়সালা করবেন। আমরাও বলি রাজপথেই ফয়সালা হবে। আমরাও প্রস্তুত আছি। ডেট তারিখ ঠিক করেন কবে রাজপথে ফয়সালা হবে। আসেন খেলা হবে।’
আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি লাঠি নিয়ে মিছিল করে আমরা তার সমুচিত জবাব দেবো।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশ চলবে বলে বিএনপির কয়েকজন নেতা যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি নিয়েও কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বলেন, ‘বিএনপি নাকি ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ করবে, সেখানে দণ্ডিত সাজাপ্রপ্ত আসামি বেগম জিয়া আর তারেক জিয়া নাকি আসবে। বেগম জিয়ার কাছে আমার প্রশ্ন, এ যাবৎকাল দেখার মতো কি কোনো মিছিল আপনারা করতে পেরেছেন?
‘বিএনপি বলছে চিটাগাংয়ে নাকি তাদের সমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাগম হয়েছে। অথচ আমরা তো দেখলাম মাত্র লাখের মতো লোক হয়েছে। অথচ ওই চট্টগ্রামে আমরা যদি ঘোষণা দিই তাহলে ১০ লাখ মানুষ সমাগম হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের বিষয়টিও বিএনপি নেতাদের স্মরণ করিয়ে দেন কাদের। বলেন, ‘শেখ হাসিনার উদারতায় আপনি এখনও বাইরে আছেন এটা কি আপনার মনে আছে? আপনারা বলেন আমরা মামলা প্রত্যাহার করব, আমরা কেন মামলা প্রত্যাহার করব? আমরা কি আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি? যারা মামলা করেছে আপনারা তাদের কাছে গিয়ে মামলা প্রত্যাহার চান।’
‘তারেককে মুচলেকা তুলতে বলেন আগে’
ফখরুলকে উদ্দেশ করে তারেক রহমানের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আপনাদের যে নেতা টেমস নদীর ওপারে বসে সব কলকাঠি নাড়ছেন, তিনি তো মুচলেকা দিয়েছিল জীবনে আর কোনোদিন রাজনীতি করবে না। আগে তাকে সেই মুচলেখা উঠাতে বলেন, তার পরে আমরা দেখব। আর তার মামলা তো আইনের ব্যাপার, সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় মিটবে।’
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে গ্রেপ্তারের পরের বছর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সময় তার পক্ষ থেকে রাজনীতি না করার একটি মুচলেনা দেয়া হয় বলে সে সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ও ছবি এসেছিল। তবে বিএনপি বা তারেক এই বিষয়টি নিয়ে কোনো বক্তব্য রাখেননি কখনও।