বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাতেই আছে লোডশেডিং কমানোর ‘ম্যাজিক’

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২২ ২১:৩৯

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, ১১ অক্টোবর সর্বোচ্চ চাহিদার প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, আর সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১২ হাজার ৬৮৬ মেগাওয়াট। ঘাটতি ১ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হবে।

বিদ্যুৎ সঞ্চালনে পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডের বিপর্যয়ের পর চার বিভাগে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এক যুগ আগের দুঃসহ স্মৃতিকে ফিরিয়ে এনেছে। অথচ সরকারি হিসাব বলছে, এই মুহূর্তে চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে এত বেশি ফারাক নেই, যাতে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যাবে।

গত ৪ অক্টোবরের বিপর্যয়ের আগে পরে পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিডের চার বিভাগ রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালে শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো বলেই তথ্য মিলেছে। চার বিভাগেই চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ব্যবধান নেই বললেই চলে, কোনো কোনো দিন কিছুটা ব্যবধান থাকলেও তা সামান্যেই।

এর মধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাকি চার বিভাগের যে লোডশেডিং পরিস্থিতি, সেটি থেকে উত্তরণ চলতি মাসে সম্ভব হবে না। নভেম্বর পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, দেড় হাজার মেগাওয়াটের উৎপাদন কমাতে হয়েছে তাদের।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান বলছেন উল্টো কথা। তিনি দাবি করেছেন, দুয়েকদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করবে। কারণ পরিস্থিতি বদলানোর ‘ম্যাজিক’ তার হাতে আছে।

সেই ম্যাজিকটা হলো এক হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে এই মুহূর্তে, আর সেটি পূর্বাঞ্চলেই, যা সাম্প্রতিক গ্রিড বিপর্যয়ের পর থেকে জাতীয় গ্রিডে আনা যাচ্ছে না।

দুই এক দিনের মধ্যে এই জটিলতা কাটবে বলে মনে করেন তিনি। আর এ কারণে লোডশেডিং পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আশুগঞ্জের পশ্চিমে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ রয়েছে। কিন্তু ঘোড়শাল উপকেন্দ্রের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা আনা যাচ্ছে না। দুই-একদিনের মধ্যেই উপকেন্দ্রটি চালু হতে পারে। এতে ওই ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে বাড়তি যোগ হবে। এতে পরিস্থিতিরও কিছুটা উন্নতি হবে।

সচিব বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহ কম পাচ্ছি, এতে করে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বসে থাকছে। করোনার কারণে বড়পুকুরিয়ার কয়লা উত্তোলন বন্ধ ছিল। সেখানে আবারও কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হবে।’

ঘাটতি কত

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, ১১ অক্টোবর সর্বোচ্চ চাহিদার প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, আর সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১২ হাজার ৬৮৬ মেগাওয়াট। ঘাটতি ১ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হবে।

তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ওই তথ্যকে বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তারা বলেছেন, চাহিদার যে প্রাক্কলন করা হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। যে কারণে বিতরণ সংস্থাগুলো ঘোষিত লোডশেডিং সিডিউল যথাযথভাবে অনুসরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

এদিকে ‘অক্টোবরে লোডশেডিং থাকবে না’ বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি রাখতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। এক মাস পিছিয়ে এবার নভেম্বরের কথা বলেছেন তিনি, সে সময় শীত চলে আসার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা আসলে কমে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, হঠাৎ করে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে ১ হাজার মেগাওয়াট। অন্যদিকে গত সপ্তাহের গ্রিড বিপর্যয়ের পর আরও ৫০০ মেগাওয়াট। স্বাভাবিক হয়নি ঘোড়াশাল-আশুলিয়া গ্রিড লাইন। ফলে সেই ঘাটতি পোষাতে হচ্ছে লাগাতার লোডশেডিং দিয়ে। সব মিলে গত এক সপ্তাহে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে দেড় হাজার মেগাওয়াট।

এ বিভাগের আরো খবর