গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রাখতে নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। আর প্রধানমন্ত্রী সব দলকে নিয়েই নির্বাচন করতে চান।’
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘রাজপথে সংঘাত-সহিংসতা না করে সংসদে গিয়ে জনগণের জন্য কথা বলতে হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। আমরা সব দলকে সংসদে নিয়েই কাজ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা তার কন্যার মধ্যে প্রোথিত আছে বলেই শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন।
‘এ দেশ স্বাধীন করেছে সব ধর্মের মানুষ। তাই ধর্মান্ধতার বিভ্রান্তি থেকে আমাদের মুক্ত থাকতে হবে।’
টুকু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনাকে যদি জানতে চান তাহলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে যদি জানতে চান তাহলে বাংলাদেশকে জানতে হবে। আমাদের মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
‘বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে আরও আগেই বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতেন। এখনই সময় দুশমনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। সময় এসেছে আবারও ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬৯ ও ১৯৭১-এর মতো একতাবদ্ধ হয়ে হিংস্র শকুনের দলকে রুখে দেয়ার।’
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পাকিস্তানি পরাজিত শক্তির সীমাহীন উল্লাস দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করেই খুনিরা ক্ষান্ত হয়নি, তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। দেশকে নিয়ে গেছে অন্ধকারের দিকে।
‘১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশে ফিরে দূর করেছেন সেই অন্ধকার। তিনি শুধু দলের হালই ধরেননি, জাতিকে দিয়েছেন দিশা। দেশকে নিয়ে গেছেন উন্নয়নের পথে। বার বার প্রাণনাশের চেষ্টার পরও তিনি দমে যাননি।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর হারুন অর রশিদ, প্রফেসর মাহফুজা খাতুন, মাওলানা আজাদ, প্রফেসর আব্দুল মান্নান, প্রফেসর নিজামুল হক, সৈয়দ বোরহান কবির, প্রফেসর সাদেকা হালিম, ড. উত্তম বড়ুয়া, ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার প্রমুখ।