বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাহিদার ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে পরমাণু থেকে: ইয়াফেস ওসমান

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:৫১

নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শতভাগ শেষ না হলে, নতুন করে কোনো কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

দেশের মোট চাহিদার ১০ শতাংশ বিদ্যুতের যোগান পরমাণু থেকে নিশ্চিত করতে চায় সরকার। আর তা বাস্তবায়ন করতে হলে নির্মাণ করতে হবে আরও কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

কিন্তু নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শতভাগ শেষ না হলে, নতুন করে কোনো কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার ৬৬তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থান করছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী। সোমবার অধিবেশনের প্ল্যানারি সেশনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

দেশে নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রীর কাছে। জবাবে ইয়াফেস ওসমান জানালেন এখনই তা সম্ভব নয়। রূপপুরের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে আগামী দিনে প্রকল্প বাস্তবায়নের ইঙ্গিত মিলেছে তার কথায়।

তিনি বলেন, ‘(পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে) বাইরে কাজ করে এসেছেন, এমন এক্সপার্ট আমাদের নেই বললেই চলে। জিরো ইউনিট বলতে গেলে। আমরা আমাদের ছেলেগুলোকে ওইভাবে ট্রেইন করে নিচ্ছি। এই জায়গায় এমন একটা বিপুল কাজ, যেটা একদিক দেখলে পরে আরেকদিক দেখা যায় না, এরকম একটা বিশাল প্রজেক্টের ব্যাপার।

‘সেখানে আমাদের ন্যাচারালি, এটা যেটা আমরা চাই, এটার মধ্য দিয়ে আমাদের সক্ষমতাটা বা বুস্টটা যেটা হলো, যেটা আমরা বুঝতে পারলাম, সেটা কমপ্লিট হওয়ার আগে আমার মনে হয় আরেকটা করা আমাদের জন্য খুব একটা লজিক্যাল হবে না।’

তবে জ্বালানি নিয়ে সরকার পরিকল্পনা প্রণয়ন করে ফেলেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন ইয়াফেস ওসমান।

তিনি বলেন, ‘বাট ইভেন দেন, আমরা তো আমাদের এনার্জি প্ল্যানিং তো করেই ফেলেছি। সেখানে আজ দেখলাম তাদেরও (বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রতিনিধি) কয়েকজন বলল, তারাও নিউক্লিয়ারে ১০ শতাংশ যেতে চায়। উই হ্যাভ সেইম থিং। আমাদের এনার্জির ১০ পারসেন্ট আসবে নিউক্লিয়ার থেকে।’

জ্বালানির ১০ শতাংশ যদি পরমাণু থেকে আনতে হয় তার জন্য আরও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে বলেও জানান তিনি।

ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘সেটা করতে হলে আমাদের আরও কয়েকটা করতে হবে। একটা জায়গা আমরা দেখছি দক্ষিণের দিকে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা। আর এখানেও (পাবনরা ঈশ্বরদীর রূপপুরে) আরও দুটো করার মতো স্কোপ (সুযোগ) আছে। এইগুলো আরও একটু পরে। এটা আমরা শুরু করার পরে ওই সিদ্ধান্তগুলোতে যাওয়া লজিক্যাল বলে আমি মনে করি।’

এদিকে সম্মেলনের ফাঁকে সাইডলাইনে মঙ্গলবার মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিনিয়োগ ও নির্মাণকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-নন কোভিড এসব মিলিয়ে টিলিয়ে একটা সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে তো, তারা এগুলো নিয়ে আলাপ করতে চায়। কিন্তু আমাদের কথা হলো যে, আমরা যেভাবে টার্গেট নিয়েছি মানে ডেট ঠিক করেছি তার মধ্য থেকে যেন আমরা না বেরিয়ে যাই সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

সব ঠিক থাকলে মন্ত্রীর আশা ২০২৩ সালে উৎপাদনে আসছে রূপপুরের প্রথম ইউনিট। আর পরের বছর আসছে দ্বিতীয় ইউনিট।

মন্ত্রী বলেন, যে গতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে তাতে, ‘প্রজেক্টে কোনো প্রবলেম হওয়ার কথা না।’

পরমাণু নিয়ে বাংলাদেশের সরকারের পরিকল্পনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে ক্লাইমেটে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সারা পৃথিবী তো মেনে নিয়েছে। আমরা চাই যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজটিও যেন একইভাবে হয়।’

তবে এটি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা আছে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘এটা অনেকের কাছে খুব ক্লিয়ার না। আমাদের অর্থনীতিবিদরাও ওইভাবে চিন্তাটা করেনি। এই ধরনের টেকনলোজি বাংলাদেশের মতো দেশে ব্যবহার করে ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করতে পারি। এটি ইটসেল্ফ আমাদের অন্য একটা পজিশন করে দেবে।’

এরপর আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ৬৬৩ম অধিবেশনের প্ল্যানারি সেশনে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে একটি উন্নত বিশ্বের জন্য সংস্থাটির আদেশ ও কার্যক্রমের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর