বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোগীর পেটে কাঁচি ফেলে আসায় চিকিৎসক জেলে

  •    
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:২২

ব্যথা নিরাময়ের জন‍্য ২০ বছর ধরে বাচেনা খাতুন বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ঘুরেছেন। অবশেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক্স-রে করে তার পেটের ভেতর একটি কাঁচি শনাক্ত করা হয়।

২০ বছর আগে মেহেরপুরের গাংনীতে বাচেনা খাতুন নামে এক রোগীর পেটে অস্ত্রোপচারের সময় কাঁচি ফেলে আসার অভিযোগে স্থানীয় রাজা ক্লিনিকের মালিক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের আদালতে রাজার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

এ তথ‍্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক গোলাম মহাম্মদ।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, পিত্তথলির পাথর অপসারণের জন্য ২০০২ সালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের গৃহবধূ বাচেনা খাতুনের অস্ত্রোপচার হয় গাংনীর রাজা ক্লিনিকে। সে সময় বাচেনা খাতুনের অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক মিজানুর রহমান। তার সহকারী ছিলেন ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা ও অ্যানেস্থেসিয়া হিসেবে ছিলেন ডা. তাপস কুমার।

অস্ত্রোপচারের এক সপ্তাহ পর বাচেনা খাতুনকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। কিন্তু তার পরও বাচেনা খাতুনের পেটের ব্যথা থেকেই যায়।

ব্যথা নিরাময়ের জন‍্য ২০ বছর ধরে বাচেনা খাতুন বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ঘুরেছেন। অবশেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক্স-রে করে তার পেটের ভেতর একটি কাঁচি শনাক্ত করা হয়।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ডা. রাজার অর্থায়নে বাচেনা খাতুনকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে ২০ বছর আগে ফেলে আসা কাঁচিটি বের করে আনা হয়। পরে বাচেনা খাতুনের সঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের একটি সমঝোতাও হয়।

এদিকে বিষয়টি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের নজরে এলে তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন এবং মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সারোয়ারকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে জেলা সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকীকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য বলা হয়।

পরে মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ঘটনাটির তদন্তে গত ৫ জানুয়ারি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান লিটনকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

ওই কমিটি তিনজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দেয়। এর মধ্যে চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে করা হয় প্রধান আসামি। বাকি দুই আসামি করা হয় ডা. তাপস কুমার ও পারভিয়াস হোসেন রাজাকে।

সেই মামলার জামিন পেতেই রোববার দুপুরে অভিযুক্তরা আদালতে আবেদন করেন। এ সময় ডা. মিজানুর রহমান ও তাপস কুমারকে জামিন দিলেও ক্লিনিকের মালিক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর