রাজধানীর উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের একটি বাসার নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া গৃহকর্মীকে মৃত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শনিবার রাত ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
১৮ বছর বয়সী গৃহকর্মীর নাম রুবি আক্তার। তিনি নেত্রকোনা সদরের কচুদিয়া গ্রামের চান মিয়ার মেয়ে।
গৃহকর্তার অভিযোগ, ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রুবি, তবে বিষয়টিকে রহস্যজনক বলেছেন এক প্রতিবেশী।
ঢামেকে রুবিকে নিয়ে যাওয়া গৃহকর্তা আনিসুর রহমান চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রুবি আমার এখানে আড়াই বছর ধরে কাজ করে আসছে। আমরা তাকে আমাদের পরিবারের সদস্যের মতো দেখি।’
তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, সে গ্রামে একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক করে বিয়ে করে। কিছুদিন যেতে না যেতেই সে বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর থেকে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং প্রায় সময় ঘুমের বড়ি সেবন করত। এ বিষয়ে তার মা-বাবাকেও বলা হয়েছে।’
রুবি আত্মহত্যা করেছেন দাবি করে আনিসুর বলেন, ‘গত রাত সাড়ে ৯টার দিকে সবার চক্ষু আড়াল করে রুবি আমাদের বাড়ির পাঁচতলায় ছাদে উঠে নিচে লাফ দেয়। পরে বিকট শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন আসে।
‘আমরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।’
আনিসুরের প্রতিবেশী শামসু মিয়া বলেন, ‘আমরা শব্দ পেয়ে বাড়ির বাউন্ডারির ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে (রুবি) উদ্ধার করে মেডিক্যালে নিয়ে আসি। গৃহকর্তা যা বলছেন, এ বিষয়ে আমরা বেশি কিছু বলতে পারব না, তবে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য গৃহকর্মীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।