বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অপহরণ করে মুক্তিপণ: ডিবির সাত সদস্যের ৭ বছরের জেল

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৪:১২

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ‘মামলায় ৩৬৫ ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছর করে কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপর ৩৮৬ ধারায় প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’

টেকনাফে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের দায়ে কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিষ্কৃত সাত সদস্যকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল আলম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিতরা হলেন তৎকালীন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজম। তাদের উপস্থিতিতে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

দেনদরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় পরিবার। টাকা পৌঁছে দেয়া হলে পরদিন ভোরে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেয়া হয়।

বিষয়টি গফুরের স্বজনরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা চৌকির কর্মকর্তাকে জানান। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সেনাবাহিনীর এই নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছিল। মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি পুলিশের সদস্যরা মাইক্রোবাসে করে যাওয়ার সময় মেরিন ড্রাইভ সড়কে চৌকির সেনা সদস্যরা মাইক্রোটি তল্লাশি করে ১৭ লাখ টাকা পান। এ সময় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনা সদস্যরা।

এ ঘটনায় পরে ব্যবসায়ী আবদুল গফুর সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গেল ৫ সেপ্টেম্বর বিচারিক কার্যক্রম শেষে আজ ২০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করার দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক।

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ‘মামলায় ৩৬৫ ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছর করে কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপর ৩৮৬ ধারায় প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর