সংবাদমাধ্যম নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র, সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা ও অব্যাহত হয়রানি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন সাংবাদিকরা।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এ বিক্ষোভের আয়োজন করে।
সমাবেশে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, 'সাংবাদিকদের জীবন এখন বিপন্নের দিকে যাচ্ছে। তাদের রুটি-রুজি সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। মালিকপক্ষ তাদের অন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পাওনা পরিশোধ করছেন, কিন্তু গণমাধ্যম ঠিকমতো চালাচ্ছেন না।'
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকরা ভালো নেই৷ সাড়ে চার বছর পরও ওয়েজ বোর্ডের কোনো সুফল তারা পাচ্ছেন না। আগামীতে পত্রিকা, টেলিভিশনে যদি নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন। আজকের সমাবেশ থেকে আমরা এসব ঘটনার নিন্দা জানাই।’
ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, তাতে সাংবাদিকদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সামান্য বেতন দিয়ে পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সংবাদকর্মীরা। আরও দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় যে হামলা-মামলা, এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। যদিও আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, কোনো সাংবাদিক এর শিকার হবেন না, কিন্তু তিনি তার কথা রাখেননি।‘
তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে অভিভাবক মানি। আমাদের সবকিছু দেখার দায়িত্ব তার। তিনি একজন বিচক্ষণ সংগঠক। সুতরাং তথ্যমন্ত্রীর উচিত সাংবাদিকদের দাবি মেনে নেয়া।’
তিনি নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।