বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অক্টোবরে রূপপুরে বসছে দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:৫৯

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘এটি না করলে অনেক খরচ কম হতো, আমরা অনেক খরচ করে কোরক্যাচার বসিয়েছি শুধু জনগণের নিরাপত্তার কথা ভেবে। নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেয়া হয়নি। জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বসানো হবে আগামী ১৬ অক্টোবর।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বসানোর কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার সভাকক্ষে শনিবার বিকেলে এক সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

‘নতুন বিশ্ব বাস্তবতায় বাংলাদেশে পরমাণু শক্তির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনরাটির আয়োজন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাত নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীদের সংগঠন এটমিক রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এআরবি)।

এ সময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ইস্যুতেও কথা বলেন মন্ত্রী। প্রায় ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয়ে নির্মিতব্য প্রকল্পটির নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বলেন, ‘দেশের মানুষের নিরাপত্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবচেয়ে প্রধান গুরুত্বের বিষয়।’

জাপানের ফুকুশিমার পর রূপপুরে কোরক্যাচার প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এটি না করলে অনেক খরচ কম হতো, আমরা অনেক খরচ করে কোরক্যাচার বসিয়েছি শুধু জনগণের নিরাপত্তার কথা ভেবে। নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেয়া হয়নি। জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

এটির ব্যবহার কখনও নাও হতে পারে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে কোরক্যাচার বসানো হচ্ছে, যেটা কখনও ব্যবহার নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে রাশিয়ান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।’

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই ব্যবস্থাও রাখছেন বলে জানান মন্ত্রী।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান, সম্মানীয় অতিথি হিসেবে পরমাণু বিজ্ঞানী এবং এনপিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর বক্তব্য রাখেন।

জিয়াউল হাসান বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে গতানুগতিক জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে পারমাণবিকের মতো গ্রিন এনার্জিতে যেতে হবে।’

বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর দুই বছর পর থেকে রাশিয়ার ঋণ রিপেমেন্ট শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

ড. শৌকত আকবর বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিনিয়োগ ব্যয় কখনই অন্য দেশের চেয়ে বেশি নয়। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ সাড়ে ৪ টাকার বেশি হবে না।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নের যে লক্ষ্যমাত্রা, সেটা অর্জন করতে হলে গ্যাসের বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনের চিন্তা করতে হবে, কারণ গ্যাসের মজুত কমে আসছে। সাশ্রয় এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি হিসেবে পারমাণবিক প্রযুক্তি ছাড়া স্থানীয় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতের বিকল্প নেই।’

সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। এ সময় বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচের চিত্র তুলে ধরেন তিনি।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশীয় গ্যাস ছাড়া অন্য যেকোনো উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ অনেক বেশি সাশ্রয়ী।’

তবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার ওপর জোর দেন তিনি।

এটমিক রিপোর্টার্স বাংলাদেশের সেক্রেটারি ফজলে রাব্বির সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মো. আরিফুল সাজ্জাদ।

আরিফুল সাজ্জাদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি অন্যান্য খাতে কীভাবে পারমাণবিকের ব্যবহার করে সুবিধা পাওয়া যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর