পাবনায় পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সায়দার রহমান মালিথা হত্যা মামলার ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহার হওয়া বিদেশি পিস্তল, গুলি, চাকু ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার জানান, জমির বিরোধের জেরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিনের নির্দেশে সায়দার হত্যার কথা আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
আসামিরা হলেন হেমায়েতপুর ইউনিয়নের গফুরিয়াবাদ গ্রামের আনোয়ার আহম্মেদ স্বপন, পৌর এলাকার চক ছাতিয়ানি গ্রামের আশিক মালিথা, আলিফ মালিথা, কাশিপুর এলাকার রিপন খান, গোপালপুর ইমব্যাঙ্কমেন্ট রোডের নুরুজ্জামান রাকিব ও একই এলাকার ইয়াসিন আরাফাত ইস্তি।
এসব তথ্য সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সি।
তিনি জানান, গত দুইদিনে কক্সবাজার, ঢাকা, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তারা। হেমায়েতপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন মালিথার নির্দেশে তারা সায়দারকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন। আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।এসপি বলেন, ‘হেমায়েতপুর ইউপিতে প্রায় ৬০ বিঘা জমির ভোগদখল নিয়ে চাচাতো ভাই সাইদার মালিথার সঙ্গে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথার বিরোধ ছিল। সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনে আলাউদ্দিন পরাজিত হওয়ার পর তার দখলে থাকা নিজেদের জমির দখল নেন সাইদার ও স্বজনরা। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মারামারির ঘটনাও ঘটে।
‘সবশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর জমি নিয়ে বিরোধে আলাউদ্দিন মালিথার ভাই সঞ্জু মালিথাকে মারধর করে সাইদারের লোকজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইদারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আলাউদ্দিন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা গত ৯ সেপ্টেম্বর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙ্গাবাড়িয়া মুজিব বাঁধ মোড়ে প্রকাশ্যে সায়দারকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।’
এসপি জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই স্বপনের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ ৮টি মামলা, আশিক মালিথার বিরুদ্ধে হত্যা, চুরি, মাদকসহ ৭টি মামলা ও নুরুজ্জামান রাকিবের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, চুরিসহ ৫টি মামলা আছে।