ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে ভোটকক্ষে অনুপ্রবেশের ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
রোববার ৫টি ভোটকেন্দ্র থেকে ওই সাতজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইডিইএ দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের ডিপিডি কমিউনিকেশন স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে ইসির কন্ট্রোল রুমে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, ব্যালট ইউনিট নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরানো। গোপনকক্ষে ভোটারের বাইরেও একাধিক লোক।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সাতজনকেই ভোটকক্ষে গোপন বুথে ভোটারদের ভোট দেয়ার দৃশ্য দেখার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
যেসব কেন্দ্রে এ ধরনের ভোটের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো হলো ভুটিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপিঠ, ঝিনাইদহ কলেজ, চর মুরারীদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ঝিনাইদহ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৭টি এবং ভোটকক্ষ রয়েছে ২৬৫টি। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
‘নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি, তবে ভোটকক্ষে অপ্রত্যাশিত অনুপ্রবেশের জন্য ৭ জনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিংয়ের জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পঞ্চম তলায় এই কন্ট্রোল রুমে সকাল ৮টা থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পৌরসভা নির্বাচন মনিটর করা হচ্ছে।’
এদিকে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ বাকি তিন কমিশনার ইসির কন্ট্রোল রুমে এসে উপস্থিত হন। ওই সময় সামিয়ানা টানানো তিনটি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র দেখে কমিশনাররা হতাশা প্রকাশ করেন। ভোটের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান তারা।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিসিটিভির মাধ্যমে তদারিক করে ইসি। ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচনেও একই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে হওয়া পরবর্তী সব নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে তদারকির পরিকল্পনা রয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির।