কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে ক্লাস টেস্ট ও মিডটার্ম পরীক্ষা চলমান থাকবে।ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেলে জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাদের দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে রোববার ও সোমবারের সব বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী।
উপাচার্য বলেন, ‘যেহেতু অনেকে আহত হয়েছে, তাই আগামীকাল (রোববার) ও পরদিনের পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে।’
ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ডেকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে বলেছে। তারপরও ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের মাধ্যমে এসব ঘটনায় কারা জড়িত, কারা ইন্ধন দিচ্ছে তা জেনে প্রশাসন সরাসরি অ্যাকশনে যাবে।‘সংঘর্ষের ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে দেখতে যাচ্ছি। যদি তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হয় তাহলে আমরা করব।’
শুক্রবার মধ্যরাতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে। এর জেরে শনিবার ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে এই দুই গ্রুপ।
দুপুর ১টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয় ওই দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
এর মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।