বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবি শিক্ষার্থী আকবর ‘হত্যার’ কিনারা হয়নি এক বছরেও

  •    
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৩৬

আকবর ‘হত্যাকাণ্ডের’ সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আকবর হোসাইন খান রাব্বি ‘হত্যার’ এক বছর পেরিয়ে গেলেও রহস্য উন্মোচন হয়নি।

মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পরিবার ও সহপাঠীরা জানিয়েছেন ক্ষোভ।

আকবর ‘হত্যাকাণ্ডের’ সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আকবরের বড় বোন লাবনী খানম আঁখি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা।

জানানো হয়, আকবর ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট পুরান ঢাকার মেস থেকে বের হন। সহপাঠীরা সেদিন একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করলে জানান আশপাশেই আছে। রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে আকবর তার বড় বোনকে জানান, কিছু পরেই বাসায় ফিরবেন। কিন্তু রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে তারা খবর পান আকবরকে চট্টগ্রামের একটি ফ্লাইওভার থেকে কে বা কারা নিচে ফেলে দিয়েছে।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন। তার কোমরের বাম পাশে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের গভীর ক্ষত ছিল। ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেয়ায় তার ব্রেইনের অনেকাংশ থেঁতলে যায়। ব্রেইনে রক্তক্ষরণ হয়ে টানা পাঁচ দিন হাসপাতালে আইসিইউতে থেকে ১ সেপ্টেম্বর ভোরে মারা যান আকবর।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, এক বছর পার হয়ে গেলেও অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তদন্ত নিয়ে পুলিশও কোনো কিছু বলতে পারছে না। চট্টগ্রাম পিবিআইকে তদন্তভার দেয়া হলেও কোনো অগ্রগতি এক বছরেও হয়নি।

আকবরের মোবাইল ফোন ঘটনার এক-দুই দিনের মধ্যেই থানা থেকে লক খুলতে গিয়ে হার্ড রিসেট দেয়া হয়, ফলে কোনো তথ্যই ফোন থেকে পাওয়া যায়নি। আকবরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে হঠাৎ অ্যাক্টিভিটি দেখতে পান তার একাধিক বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা। যেমন পুরাতন স্ট্যাটাস ছবির প্রাইভেসি চেঞ্জ করা, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লক করে দেয়া। কিন্তু এত কিছু হলেও পুলিশ কিছুই বলতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

সম্মেলনে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রকল্যাণের সভাপতি ওয়াহিদ ডেনি বলেন, ‘মৃত্যুর এক বছর পার হলেও আকবর কীভাবে চট্টগ্রাম গেল, সেটাও জানা যায়নি। আকবরের হত্যারহস্য যদি দ্রুত উন্মোচন না হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’

আকবরের বড় বোন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মোছা. লাবনী খানম আঁখি বলেন, ‘এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা ভাইয়ের হত্যাকারী ও হত্যারহস্য এখনও জানা যায়নি। এটা আমার ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের। আকবরের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি হওয়ার এবং সে নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছিলেন, কিন্তু কী থেকে কী হয়ে গেল।’

এ বিভাগের আরো খবর