ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে মধ্যরাতে তল্লাশি চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে এ তল্লাশি চালায়। তবে তল্লাশিতে কিছু উদ্ধার বা কাউকে আটক করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘রাতে আমরা দুটি হলে তল্লাশি চালিয়েছি। হলে বহিরাগত বা অবৈধ কেউ থাকছে কি না বা অস্ত্র রেখেছে কি না, তা সন্ধানে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় দুই হলে একসঙ্গে তল্লাশি চালানো হয়।’
সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ছাত্রলীগের সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করেন সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এর জেরে বিকেলে সিএফসির এক নেতাকে মারধর করলে দুই পক্ষ ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হন। গুরুতর আহত ১০ জনকে নেয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যালে।
এ ঘটনায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে জানিয়ে প্রক্টর বলেন, ‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’