বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সব আসনেই কিছু কেন্দ্রে ইভিএম চায় জেপি

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:৩৯

জেপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহার করলে ৩০০ আসনেই তা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি ইভিএম ব্যবহার করে তাহলে প্রত্যেকটি আসনে সুনির্দিষ্টভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হবে।’

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আবার কোথাও ব্যালটে না নিয়ে বরং ৩০০ আসনের নির্দিষ্টসংখ্যক কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট চায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় পার্টি (জেপি)।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সোমবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে এমন সুপারিশ করা হয়।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একই তথ্য জানান জেপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম। বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহার করলে ৩০০ আসনেই তা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি ইভিএম ব্যবহার করে তাহলে প্রত্যেকটি আসনে সুনির্দিষ্টভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হবে।

‘দেড় শ আসনে ইভিএম করবে আর বাকি আসনে করবে না, তাতে একটা বৈষম্যমূলক আচরণ হয়ে গেল। প্রত্যেকটা এলাকায় ১০ শতাংশ বা ১৫ শতাংশ দেন। এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সাপোর্ট যেন থাকে, যাতে মানুষের কোনো আস্থার সংকট থাকবে না।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট যেন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণে হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি বলা হয়েছে বলে জানান জেপির সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘কেবল ইসি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে পারে না। দু-একটি দল ভোটে অংশ না নিলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়।’

নির্বাচন কমিশনকে কেবল রাজনৈতিক দলের নয়, জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন শহীদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেন নিজেদেরকে কোনো ধরনের বিতর্কের মধ্যে না ফেলে। যারা এমপি তারা সুদীর্ঘকাল ধরে তাদের সংসদীয় এলাকা তৈরি করেছেন। এখন বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হলে তাদের প্রতি অবিচার করা হয়ে যায়। শহরে জনসংখ্যা বেশি বলে গ্রামাঞ্চলে আসনের সংখ্যা যেন কমানো না হয়।’

জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য কমিশনার ও সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন।

গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকে সংলাপে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল ৩০টি দল।

এর মধ্যে দুটি দল (জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। পরে দল দুটিকে সোমবার সংলাপে বসার সময় দেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা।

সংলাপে জেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিতর্ক এড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে মিডিয়ার সামনে কম কথা বলা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের কাজ যেন নিরপেক্ষ হয়, এটা দৃশ্যমান হতে হবে। সব দল ও প্রার্থীর প্রতি নির্বাচন কমিশনের সমান ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।

সংলাপে জেপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধী বা যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি তারা যেন ভোটকেন্দ্রে ও নির্বাচনে দায়িত্ব না পায় সে বিষয়ে ব্যবস্হা নিতে হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে না আনলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

এ বিভাগের আরো খবর