কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আর বিএনপি দাবি করছে, তাদের দুই শতাধিক কর্মী আহত হয়েছেন।
পরে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পৌর সদরের সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলেছে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আল আমিন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি ছিল না। তারা মিছিল নিয়ে পৌর বাজারের দিকে আসলে বাধা দেয়া হয়।
‘পুরো উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পিকেটিং করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাকুন্দিয়াতে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
‘পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এতে আমাদের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
উপজেলার চৌরাস্তা, গরুরহাটা ও টিএন্ডটি এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এখনও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কয়েকটি জেলায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে দলটির নেতা-কর্মীদের। সংঘর্ষে দুই জেলায় ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনাও।
বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন শাওন প্রধান নামে এক যুবক। দলটির দাবি, নিহত শাওন যুবদল কর্মী ছিলেন।
এর আগে ভোলায় গুলিতে প্রাণ হারান জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম।