পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সিরাজগঞ্জে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সদর থানার এসআই শাহ আলম শুক্রবার রাতে এই মামলা করেন। আসামি করা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি অমর কৃষ্ণ দাস, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জনসহ ১১০ নেতাকর্মীকে।
এসআই নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে আটক দুইজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শুক্রবারই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নেত্রকোণা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকেই মামলাগুলো করা হয়।
সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে কেক কেটে সমাবেশ করে। সমাবেশের শেষের দিকে কিছু কর্মী আমাদের পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। তখন আমাদের পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে।
‘এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করলে আমাদের কয়েকজন অফিসার ও কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তখন আমরা টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শহরের ধানবান্ধি এলাকার দিকে তাদের পাঠিয়ে দেই।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘আমাদের দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কাটা শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের সময় যখন সরকারের গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সবাইকে একযোগে আন্দোলন করার ব্যাপারে বলা হলো, সেই সময় পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিপেটা শুরু করে।
‘তখন আমরা নেতাকর্মীদের শান্ত করাতে থাকলে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে আমরা দলীয় কার্যালয় থেকে সরে এসে শহরের ধানবান্ধি এলাকায় অবস্থান নিলে পুলিশ সেখানেও আমাদের ওপর চরাও হয়। এতে আমাদের প্রায় ১০-১২ জন নেতা আহত হয়েছেন।’