বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মধ্যরাতে পুলিশ পাহারায় দাফন শাওনের

  •    
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:২২

সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শাওনকে রাতেই দাফন করা হয়।’

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে গুলিতে নিহত শাওন প্রধানের মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ পাহারায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে রাতে সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে শাওনের পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে পুলিশি পাহারায় শাওনের মরদেহ বাড়িতে নেয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে তাকে দাফন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শাওনকে রাতেই দাফন করা হয়।’

বৃহস্পতিবার বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচিতে সকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শাওন প্রধান।

তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব গোপালনগর গ্রামে। মৃত সাহেব আলীর চার ছেলেমেয়ের মধ্যে শাওন সবার ছোট। ফতুল্লার এনায়েতনগর এলাকায় একটি কারখানায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে যুবদলের কর্মী বলে দাবি করে আসলেও হাসপাতাল থেকে মরদেহ আনা বা দাফনের সময় দলটির কেউ ছিল না। বরং নিহত শাওনকে যুবলীগ কর্মী দাবি করে রাতে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

শাওন যুবদলের কর্মী ছিলেন না বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেল। তিনি বলেন, ‘শাওন গ্যারেজ মিস্ত্রি ছিলেন। গ্যারেজের মালামাল কিনতে এসেছিলেন তিনি। তিনি যুবদলের কর্মী নন।

‘আমি নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। শাওন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর ভাতিজা।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদিকুর রহমান সাদেক বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে শাওন আমার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। এবার জেলা যুবদলের সদস্য পদের জন্য তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল।

‘শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, রাজধানীর নানা কর্মসূচিতেও সে আমাদের সঙ্গে ছিল। শাওন আমাদের যুবদল কর্মী। মিছিলের মধ্যে তাকে গুলি করা হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান রনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাওনকে আমরা অনেক কর্মসূচিতে পেয়েছি। শাওন আমাদের সংগঠনের সক্রিয় একজন কর্মী ছিলেন। তাকে গুলি করে মারা হলো।’

এদিকে শাওন যুবলীগের কর্মী ছিলেন দাবি করে ‘হত্যার’ বিচার চেয়েছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টারের। তিনি বলেন, ‘শাওন আমাদের এলাকার ছেলে। তার চাচা ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী। তার ভাইয়েরা চাচার সঙ্গেই থাকেন। শাওন যুবলীগের রাজনীতি করতেন। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।’

তবে শাওন যুবদল বা যুবলীগ কোনো রাজনীতির সঙ্গেই জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলী। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘শাওন আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। সে যুবদলও করে না, যুবলীগও করে না।

‘তবে সে শহরে কেন গেছে, কে তাকে নিয়ে গেছে, আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমরা পুলিশের কাছেও দাবি জানাই, তারা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’

এ বিভাগের আরো খবর