মেহেরপুরের গাংনীতে শিশু ইরান হত্যার দায়ে আহম্মেদ শরিফ ওরফে দিপুকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হাফিজুর রহমান খান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডেথ রেফারেন্স আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত। এর ফলে আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকল।’
মামলা থেকে জানা যায়, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের ইমদাদুল হকের স্ত্রী রেনুকা বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দিপুর। রেনুকার ছেলে ইরান বাদশা এটি জেনে যায়। ২০১১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে স্থানীয় স্কুল মাঠ থেকে ইরানকে অপহরণ করেন দিপু। ওই রাতেই পার্শ্ববর্তী মাঠের পাটক্ষেতে নিয়ে হত্যা করা হয় ইরানকে।
পরদিন সকালে দিপু স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে জানান, ইরানের মরদেহ একটি পাটক্ষেতের আইলে পড়ে আছে। পরে পুলিশ বাদশার মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় দিপুর অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ওইদিনই ইরানের চাচা জাহাঙ্গীর আলম মামলা করেন।
দিপুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। বিচার শেষে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল হাসান দিপুকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
দিপু রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের মোস্তাক মণ্ডল ওরফে খোকন মণ্ডলের ছেলে। জামিনে বেরিয়ে পলাতক রয়েছেন তিনি।