জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানোর পর এখন ৫ টাকা কমানো জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’ বলে মনে করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারা গত ৫ আগস্টের আগের হারের দর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতে এই দাবি জানান বাম জোট নেতারা। তারা মনে করেন, সরকার যে হারে দাম কমিয়েছে তার সুফল সাধারণ মানুষ পাবে না। বাস বা ট্রাক ভাড়া কমবে না। এতে সরকারের রাজস্বের ক্ষতি হবে। কিন্তু সুফল পাবে পরিবহন মালিকরা।
গত ৫ আগস্ট ডিজেলের দর লিটারে ৩৪ টাকা এবং পেট্রল ৪৪ ও অকটেনের দর ৪৬ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে নেতারা বলেন, ‘জনমনের অসন্তোষকে প্রশমিত করার নামে গতকাল ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানোর যে ঘোষণা সরকার দিয়েছে তা জনগণের সঙ্গে তামাশা এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধাবৃদ্ধির নতুন পাঁয়তারা।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট এর বিরোধিতা করে যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রমাণ করে দিয়েছিল দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করলে তেলের মূল্যবৃদ্ধি করার তো কোনো কারণ নেই বরং পূর্বের দামেই বিক্রি করা সম্ভব। বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী এবং বিপিসির আর্থিক হিসাবের অসঙ্গতি (যা সংসদীয় কমিটি বলেছে) দূর করলে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন নেই।’
জোটের নেতারা বলেন, ‘এই মূল্য কমানোর কারণে প্রকৃত অর্থে পরিবহনের ভাড়া কমবে না, অন্যান্য ক্ষেত্রেও বর্ধিত মূল্য কমবে না তার ফলে পরিবহন মালিক ও অন্যান্যদের আয় কমবে না বরং সরকারের রাজস্ব কমবে মাত্র।’
বিবৃতিটি সই করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ ও সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হামিদুল হক।