বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব অপটিক্যাল ফাইবার আরও পাঁচটি কোম্পানিকে লিজ দেয়া হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে তিনটি এনটিটি ও দুটি মোবাইল অপারেটর।
কোম্পানি পাঁচটি হলো- বাহন লিমিটেড, সামিট লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও ফাইবার হোম লিমিটেড।
রেলওয়ে মহাপরিচালক ডি এন মজুমদারের সঞ্চালনায় ও রেলসচিব হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার রেল ভবনে চুক্তি সই হয়। রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচ কোম্পানির কর্মকর্তারা চুক্তি সই করেন।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বক্তব্যে বলেন, ‘যে অপটিক্যাল ফাইবার আমরা লিজ দিচ্ছি সেটি আমাদের নিজস্ব। ১৯৮৪ সালে আমরা এটি স্থাপন করেছি। রেল নিজের জন্য তৈরি করে ডিজিটালি যে অন্য মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রসর থাকবে। সেই জায়গায় আমরা কিন্তু পিছিয়ে আছি। আমরা নিজেরাই এটা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারিনি।’
কোম্পানিগুলোকে লিজের অর্থ সঠিক সময়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর কাছে শত কোটি টাকা বকেয়া। এ নিয়ে কোর্টে মামলা হয়। এই যে লিজ দিচ্ছি আমরা, আপনারা লিজ নিচ্ছেন, সময়মতো অর্থ পরিশোধ করবেন।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমাদের রেভিনিউ বাজেট দিয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার মতো। আর আমরা আয় করি প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার মতো। দেড় হাজার কোটি টাকায় রেলওয়ে চলে ভর্তুকিতে। আবার আড়াই হাজার কোটি টাকার যে টার্গেট সেটাও আমরা অনেক সময় পূরণ করতে পারি না। গত দুই বছর করোনার কারণে রেলের টার্গেট পূরণ করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভাবছি রেলের যে সম্পদ আছে তা ব্যবহার করে আয় বৃদ্ধি করতে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রেলের সম্পদ দিয়েই তারা আয়ের ব্যবস্থা করে। সেখানে আমরা দেখেছি স্টেশনগুলোতে অনেক বড় বড় মার্কেট। এই সোর্সগুলো থেকেই তারা আয় করে। আমাদের দেশেও এ সুযোগটি আছে। রেলের অনেক সম্পদ আছে, যেগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি।’
রেল খাত দেশে দীর্ঘ সময় অবহেলিত ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে রেলওয়ের উন্নয়ন হয়েছে ৪৭ সাল থেকেই। তারা কনটেইনার ব্যবসাসহ রেল থেকে নানা সেক্টরে আয় করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা করা সম্ভব হয়নি।’
রেলসচিব হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে রেলওয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে প্রাইভেট সেক্টরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে। প্রাইভেট সেক্টরের অনেক অবদান আছে এ দেশের উন্নয়নে। রেল ও প্রাইভেট সেক্টর যৌথভাবে দেশকে ডিজিটাইজ করতে উদ্যোগ নিচ্ছে।’