যশোরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশি বাধা, গাড়ি ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুরের দিকে জেলা সদরের রূপদিয়া বাজারে মিছিল বের করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বেশ কিছু গাড়ি ও মোটসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ সময় নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রাজু আহমেদের প্রাইভেট কারও ভাঙচুরের শিকার হয়। এরপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ করলে দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় দলের ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন।
সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে শনিবার সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
সমাবেশ শেষে রূপদিয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেট কার ও নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এ সময় রূপদিয়া বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। পরবর্তী সময়ে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
বিকেলে যশোর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের উপস্থিতিতে হঠাৎ করেই আমার গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় অন্তত পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এরপর আমার ইউনিয়ন পরিষদেও হামলা চালানো হয়। শোকের মাসে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপি এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করছে। বিএনপি যশোরকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে।’
এর আগে দুপুরে প্রেস ক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘রূপদিয়া বাজারে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় ইউপি চেয়ারম্যান রাজুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন। তারা সম্মিলিতভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলা প্রতিহত করেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রূপদিয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। শুনেছি স্থানীয় চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’