চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক হাজিরা ৫০০ টাকা করার দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আনিচুর রহমানের পক্ষে অ্যাডভোকেট চঞ্চল কুমার বিশ্বাস সোমবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।
সাত দিনের সময় দিয়ে শ্রম সচিব, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে চা শ্রমিকদের দৈনিক হাজিরা ৫০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছে নোটিশপ্রেরণকারী আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘চা শ্রমিকদের বাংলাদেশে নিজস্ব কোনো ভূমি নেই। এটা হতে পারে না। এ কারণে নোটিশে দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকার পাশাপাশি চা শ্রমিকদের নিজস্ব আবাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছি।’
নোটিশকারী এ আইনজীবী বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে চা শ্রমিকদের বাসস্থান সাংবিধানিক অধিকার। তাদের অবশ্যই ভূমি থাকবে। এছাড়া বর্তমান বাজার মূল্যে চা শ্রমিকদের যে মজুরি দেয়া হয় তা অমানবিক। এ সব বিবেচনায় আদালতে নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে উচ্চ আদালতে রিট করব।’
এদিকে মজুরি বৃদ্ধির দাবি আদায়ে অনড় হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির ২৩টি চা বাগানের শ্রমিকরা। এবার তারা প্রধানমন্ত্রী নিজ মুখে না বললে তারা কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে চান্দপুর চা কারখানার সামনে লস্করপুর ভ্যালির বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। এ সময় তারা ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে অনড় অবস্থানের কথা জানান।
এর আগে সকালে ১২০ টাকা মজুরিতে কাজে যোগ দেয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শ্রমিকরা।
৩০০ টাকা মজুরির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের চা-শ্রমিকরা কাজে ফিরলেও তারা ফিরবেন না বলে জানান।
গত ৯ আগস্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন চা-শ্রমিকরা। গত ২০ আগস্ট শ্রম অধিদপ্তর ও সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর ১৪৫ টাকা মজুরির আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চা শ্রমিক নেতারা। তবে সাধারণ শ্রমিকরা এর সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন।