বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক পর্যন্ত স্থগিত

  •    
  • ২০ আগস্ট, ২০২২ ২২:৫৪

রাজু গোয়ালা বলেন, ‘সারা দেশের কথা জানি না। তবে আমাদের সিলেট ভ্যালির ২৩ বাগানের শ্রমিকরা আন্দোলন স্থগিত করতে সম্মত হয়েছি। এখন আমরা আবার সব বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সঙ্গে বসবো।’

ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে চা শ্রমিক আন্দোলনের নেতারা। তবে তারা এই কর্মসূচি কয়েকদিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা।

তিনি বলেন, ‘আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক পর্যন্ত স্থগিত করেছি। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে ফিরে আমাদের সঙ্গে বসবেন বলে জানিয়েছেন। তার সম্মানে আমরা ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার নিয়ে বিভক্তির সৃষ্টি হলে শনিবার রাতে সিলেট ভ্যালির শ্রমিক নেতাদের নিয়ে আবারও বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক।

বৈঠক শেষে রাজু গোয়ালা বলেন, ‘আমাদের মজুরি মাত্র ২৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে আমরা কেউই সন্তুষ্ট না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আশ্বাস দিয়েছেন, ভারত থেকে ফিরে আগামী মাসে আমাদের সঙ্গে বসবেন। আমাদের দাবি দাওয়া শুনবেন।

‘আশা করি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি দাওয়া শুনে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।’

রাজু আরও বলেন, ‘সারা দেশের কথা জানি না। তবে আমাদের সিলেট ভ্যালির ২৩ বাগানের শ্রমিকরা আন্দোলন স্থগিত করতে সম্মত হয়েছি। এখন আমরা আবার সব বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সঙ্গে বসবো।’

রোববার থেকে শ্রমিকরা যথারীতি কাজে যোগ দেবে বলেও জানান রাজু।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে রোববার থেকে চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন।

দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা উন্নীতের দাবিতে গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন চা শ্রমিকরা। ধর্মঘটের ৮ দিনের মাথায় শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে শ্রম অধিপ্তর ও সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন চা শ্রমিক নেতারা।

বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরী ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়। এমন আশ্বাসের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেয়ার কথা জানান শ্রমিক নেতারা।

বৈঠকের পর বিকেলে চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি। আমাদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে এসে আমাদের সঙ্গে বসবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানে আমাদের দাবিদাওয়া তাকে জানানো হবে। তাই তার আশ্বাসে আমরা আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি। রোববার থেকে সব শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে।’

সমঝোতার বিরোধিতা করে সাধারণ চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এদিকে, নেতাদের এই সিদ্ধান্তের পর শ্রম দপ্তরের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শ্রমিকরা। তারা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ারও কথা জানান তারা।

বিকেলে সিলেটে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পরও শ্রমিকদের একটি অংশ সমঝোতা না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। সন্ধ্যায় তারা নগরে বিক্ষোভ মিছিলও করে। মিছিলে নেতাদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে শ্রমিকরা দাবি আদায়ে ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

আন্দোলন নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে এমন বিভক্তির পর রাতে আবারও শ্রমিক নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেছেন জেলা প্রশাসক। বৈঠকে সিলেটের সবগুলো বাগানের পঞ্চায়েত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তবে মাত্র ২৫ টাকা মজুরি বাড়ানোতে শ্রমিকরা ক্ষোভ জানিয়ে চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি রিতেশ মোদী বলেন, ‘শ্রমিকরা এই সমঝোতা মানে না। তারা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চায়। কাল থেকে তারা কাজে যোগ দেবে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

এ বিভাগের আরো খবর