বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাতিরঝিল থানা হেফাজতে মৃত্যু: ২ পুলিশ বরখাস্ত

  •    
  • ২০ আগস্ট, ২০২২ ২২:৩২

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক জানান, শুক্রবার রাতে থানায় থাকা ডিউটি অফিসার হেমায়েত হোসেন ও হাজতের প্রহরী মো. জাকারিয়াকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে।

রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে সুমন শেখ নামে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। নির্যাতন নয়, থানা হাজতের ভেতর সুমন আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের দাবি।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক জানান, শুক্রবার রাতে থানায় থাকা ডিউটি অফিসার হেমায়েত হোসেন ও হাজতের প্রহরী মো. জাকারিয়াকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে।

দুজনকে বরখাস্তের কারণ হিসেবে ডিসি বলেন, ‘সেন্ট্রি থানা হাজতের দায়িত্বে ছিলেন। হাজতে সুমন ছাড়া আর কোনো আসামি ছিল না। ভেতরে সুমন তার ট্রাউজার দিয়ে ফাঁস নিতে সময় লেগেছে। এটা দেখার দায়িত্ব ছিল তার। কিন্তু তিনি তখন হাজতের সামনে ছিলেন না। আর ডিউটি অফিসারের এসব বিষয় দেখার কথা। এ জন্য দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।'

পুলিশ হেফাজতে সুমনের মৃত্যু নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হাতিরঝিল থানার সামনে শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা।

পুলিশের দাবি, সুমন থানা হাজতে আত্মহত্যা করেছেন।

সুমনের স্ত্রী জান্নাত আরা বলেন, ‘আমার স্বামীরে ওরা থানার ভেতর মেরে ফেলছে। অফিসে ওরে মারছে। রাতে পুলিশ গিয়ে নিয়ে আসছে। পুলিশও মারতে মারতে আনছে। রাতে আমি থানায় দেখতে আসছিলাম, আমারে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বের করে দিছে।'

সুমনের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে সন্ধ্যায় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার আজিমুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইউনিলিভারের পিউরইট নামের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন সুমন শেখ। ওই অফিস থেকে ৫৩ লাখ টাকা চুরি হলে ১৫ আগস্ট হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়।

‘চুরির মামলায় তিনজনকে আটক করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। আল আমিন, সোহেল রানা ও অনিক হোসেন নামের আসামিরা এখন কারাগারে আছেন। এই তিনজনের তথ্য ও অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সুমন শেখকে চিহ্নিত করা হয়। শুক্রবার বিকেলে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতে সুমনকে নিয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। তার বাসা থেকে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার হয়। অভিযান শেষে তাকে হাজতে রাখে পুলিশ, সকালে তাকে কোর্টে পাঠানোর কথা ছিল।

‘রাত ৩টা ৩২ মিনিটে সুমন তার পরনে থাকা ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাঁস দেন, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। এই ফুটেজ নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনদেরও দেখানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর