বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাতিরঝিল থানায় যুবকের মৃত্যু

  •    
  • ২০ আগস্ট, ২০২২ ১৮:০৩

হাতিরঝিল থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় সুমন শেখ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা থানার সামনে বিক্ষোভ করছেন।

রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় সুমন শেখ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

তবে পরিবার বলছে, তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। শনিবার বিকেলে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাতিরঝিল থানার সামনে বিক্ষোভ করেন।

হাতিরঝিল থানার সামনে আহাজারি করেন সুমনের স্ত্রী জান্নাত আরা। ছবি: নিউজবাংলা

সুমনের স্ত্রী জান্নাত আরা জানান, রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন সুমন। সেখানে চুরির অভিযোগে তাকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। রাতে পুলিশ তাকে থানায় আনার সময় মারধর করেছে। এরপর থানা হাজতে নির্যাতনের সময় সুমনের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নবাবগঞ্জ থানার দক্ষিণকান্দি।

জান্নাত বলেন, ‘আমার স্বামীরে ওরা থানার ভেতর মেরে ফেলছে। অফিসে ওরে মারছে। রাতে পুলিশ গিয়ে নিয়ে আসছে। পুলিশও মারতে মারতে আনছে। রাতে আমি থানায় দেখতে আসছিলাম, আমারে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বের করে দিছে।'

পুলিশ হেফাজতে সুমনের মৃত্যু নিয়ে হাতিরঝিল থানার সামনে জান্নাতসহ স্বজনরা বিক্ষোভ করেন। এর ফলে বিকেল ৫টা থেকে হাতিরঝিল থানার সামনের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ কয়েক দফায় বিক্ষুব্ধদের সরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মী পরিচয়ে বেশ কয়েকজন যুবক বিক্ষোভকারীদের থানার সামনে থেকে সরে যেতে বলেন।

শনিবার বিকেলে সুমনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল মর্গে নেয়া হয়েছে।

হাতিরঝিল থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে সুমন শেখ নামে এই যুবকের। ছবি: সংগৃহীত

সুমনের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত মন্তব্য করতে রাজি হননি ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কর্মকর্তারা। হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এখন কথা বলা যাবে না।'

পরে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার আজিমুল হক বিস্তারিত তথ্য জানান।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইউনিলিভারের পিউরইট নামের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন সুমন শেখ। ওই অফিস থেকে ৫৩ লাখ টাকা চুরি হলে ১৫ আগস্ট হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়।

‘চুরির মামলায় তিনজনকে আটক করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। আল আমিন, সোহেল রানা ও অনিক হোসেন নামের আসামিরা এখন কারাগারে আছেন। এই তিনজনের তথ্য ও অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সুমন শেখকে চিহ্নিত করা হয়। শুক্রবার বিকেলে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

সুমনের মৃত্যুর বিষয়ে ডিসি বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সুমনকে নিয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। তার বাসা থেকে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার হয়। অভিযান শেষে তাকে হাজতে রাখে পুলিশ, সকালে তাকে কোর্টে পাঠানোর কথা ছিল।

‘রাত ৩টা ৩২ মিনিটে সুমন তার পরনে থাকা ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাঁস দেন, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। এই ফুটেজ নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনদেরও দেখানো হয়েছে।’

ডিসি জানান, ঘটনার রাতে থানায় থাকা ডিউটি অফিসার হেমায়েত হোসেন ও হাজতের প্রহরী মো. জাকারিয়াকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর