দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ফের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক আটকে বিক্ষোভ করেছেন হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরা।
জেলার মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুরে বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে তারা মহাসড়কে অবস্থান নেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মাঈনুল ইসলাম গিয়ে কথা বলে ১ ঘণ্টা পর তাদের সরিয়ে দেন।
অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। বেলা ৩টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার শ্রম অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠক শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করে সংগঠনটি। নৃপেন জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ফের সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন সুরমা ও তেলিয়াপাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা।
ইউএনও শেখ মাঈনুল ইসলাম জানান, দাবিগুলো লিখিত আকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে আশ্বস্ত করলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।
চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা নৃপেন বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে ১৬ আগস্ট শ্রীমঙ্গলের লেবার হাউসে বেলা ১১টায় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আমরা তার কাছে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি তুলে ধরি। তিনি গুরুত্বসহকারে আমাদের কথাগুলো শোনেন এবং আমাদের আশ্বস্ত করেন।
‘তখন শোকের মাস বিবেচনা করে এবং সরকারের প্রতিনিধি দল যেহেতু আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন তাই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ ও রাজপথের আন্দোলন স্থগিত করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় শ্রম অধিদপ্তরে চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ চা সংসদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন। তখনও আমাদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ায় আজ আবার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।’
৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে চা শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করছিলেন শ্রমিকরা। শনিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশে একযোগে কর্মবিরতিতে যান তারা।
সেদিন চা শ্রমিকরা হবিগঞ্জের চান্দপুর এলাকায় পুরাতন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। সেখান থেকে হাজার হাজার চা শ্রমিক হেঁটে চুনারুঘাট পৌর এলাকায় প্রধান সড়কে গিয়ে অবস্থান নেন; সেখানেও সড়ক অবরোধ করে পথসভা করেন।