বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাম জোটের হরতালে বিএনপির সমর্থন

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২২ ১৩:৫৬

লিখিত বক্তব্যের পর তার কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, বামদের হরতালে বিএনপি সমর্থন দেবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তো আগেই বলেছি যে কোনো দলের ন্যায়সঙ্গত দাবির আন্দোলন আমরা সবসময় সমর্থন করি।’

জ্বালানি তেল, সারের বর্ধিত দাম ও বাস ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম জোটের ডাকা হরতালে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যে কোনো দলের ন্যায়সঙ্গত দাবির পক্ষে আছেন তারা।

মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

আগামী ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আধাবেলা হরতালের ডাক দিয়েছে বাম জোট। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধিসহ দেশে নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিএনপির বক্তব্য তুলে ধরতে গণমাধ্যমের সামনে আসেন ফখরুল।

লিখিত বক্তব্যের পর তার কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, বামদের হরতালে বিএনপি সমর্থন দেবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তো আগেই বলেছি যে কোনো দলের ন্যায়সঙ্গত দাবির আন্দোলন আমরা সবসময় সমর্থন করি।’

এর আগে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, মাসাধিককাল থেকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নেতিবাচক প্রভাবে এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল ও ভোগ্যপণ্যসহ সকল পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় ভোক্তারা যখন দিশেহারা তখন হঠাৎ করে বিনা নোটিশে রাতের অন্ধকারে জ্বালানি তেলের দাম নজিরবিহীন বৃদ্ধি ‘মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ’ হয়ে এসেছে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর।

তিনি বলেন, ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিনের দাম একবারে ৪৫ থেকে ৫১ শতাংশ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে দেশের মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতির কফিনে শেষ পেরেকটুকু ঠুকে দেয়া হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সর্বক্ষেত্রে।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষেরা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষেও টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। এতে জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

‘গণপরিবহন থেকে কাঁচাবাজার- সর্বক্ষেত্রে কয়েকগুণ মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে সবাই। প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে, তারা মিছিল করছে।’

দাম যদি বাড়াতেই হতো, তাহলে সহনীয়ভাবে ধাপে ধাপে বাড়াতে পারত বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘হঠাৎ করে রাতের আঁধারে একবারে এত বেশি দাম বৃদ্ধিতে জ্বালানি ব্যবহার সংশ্লিষ্ট সকলেই হতচকিত হয়ে পড়েছে। যাত্রী, ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই হতবাক।’

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম কমে আসার মধ্যে বাংলাদেশে দাম এক লাফে এত বেশি বাড়ানোর পেছনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসাই কারণ বলেও মনে করেন ফখরুল। বলেন, ‘সরকারের বেপরোয়া দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপরিণামদর্শিতার দায় পুরোপুরি সাধারণ মানুষের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হলো।’

তেলে প্রতি লিটারে সরকার ৩৪ টাকা করে কর আদায় করছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ইচ্ছা করলে সেই কর প্রত্যাহার করতে পারত। তাতে জনগণ স্বস্তি পেত।

বিএনপি নেতার অভিযোগ, সরকার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আর্থিকভাবে লাভবান করার লক্ষ্যে দেশে নতুন গ্যাসক্ষত্র আবিষ্কারের চেষ্টা না করে বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানির সুযোগ করে দিয়েছে।

গ্যাস, বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা। বলেন, গত ১২ বছরে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৯০ শতাংশ বেড়েছে। এখন আবার ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। মাসখানেক আগেও গ্যাসের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এবার আবার বাড়লে শিল্প উৎপাদনও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে। জীবনযাপনে আরও বেশি বিপর্যয় নেমে আসবে।

বিএনপি শাসনামলে দেশের মানুষের প্রকৃত আয় অনেক বেশি ছিল দাবি করে ফখরুল সে সময়ে গ্যাস-বিদ্যুত ও পণ্যমূল্যের দামের একটি তথ্যও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খানও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর