রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট- বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে ভায়াডাক্টের অংশ বা বক্স গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে নিহত ৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টায় তিনটি অ্যাম্বুলেন্স পাঁচ মরদেহ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গ ত্যাগ করে।
অবশ্য ময়নাতদন্ত করার পর মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে কিছুটা জটিলতা দেখা দেয় হাসপাতালে। সেখানে দুর্ঘটনায় নিহত আইয়ুব আলী হোসেন রুবেলের মরদেহ নিতে একে একে হাজির হন তার স্ত্রী দাবিদার সাত নারী।
তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কাউকেই রুবেলের মরদেহ দেয়া হয়নি। সমঝোতার ভিত্তিতেই শেষপর্যন্ত মরদেহ বুঝে দেয়া হয় রুবেলের ভাই জিয়ার কাছে। মরদেহ এরপর পাঠানো হয় তার গ্রামের বাড়িতে।
- আরও পড়ুন: মৃত্যুর পর জানা গেল রুবেলের ৭ স্ত্রী
সোমবারের দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া রুবেলের ছেলে হৃদয়ের খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা রুবেলের মরদেহ বুঝে নিয়েছেন। মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে তাকে সমাহিত করা হবে।’
তার আগে এক এক করে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল ছেড়ে যায়।
প্রথমে নিহত ঝর্না আক্তার ও তার দুই সন্তান জান্নাতুল ও জাকারিয়ার মরদেহ নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যায়। এরপর ফাহিমা আক্তারের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বের হয়ে যায়। দুটি অ্যাম্বুলেন্সই জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সবশেষে বের হয় আইয়ুব আলী হোসেন রুবেলের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স।
নিহত ঝর্ণা ও ফাহিমার ভাই মনির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি দুই বোন ও বোনের দুই সন্তানের মরদেহ বুঝে পেয়েছি। তাদেরকে জামালপুরে দাফন করা হবে। অ্যাম্বুলেন্স তাদেরকে নিয়ে জামালপুর রওনা দিয়েছে।’
রুবেলের একাধিক স্ত্রীর বিষয়ে জানতে চাইলে হৃদয়ের খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যদি কেউ এমন থাকে, তাহলে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখন হৃদয় তার বাবা রুবেলকে তাদের গ্রামের মেহেরপুর নিয়ে যাচ্ছে।’
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, ‘বিকেলে পাঁচজনের লাশই হস্তান্তর হয়েছে। রুবেলে লাশ তার ভাই জিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাকে গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে নেয়া হচ্ছে।’