বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গার্ডার দুর্ঘটনা: স্ত্রী-সন্তান হারানোর শোক কীভাবে সইবেন জাহিদ

  •    
  • ১৬ আগস্ট, ২০২২ ১৩:১০

নিহত ঝর্না বেগমের স্বজন হাসনা বেগম বলেন, ‘সোমবার দুপুরে মারা গেছে, অথচ এখনও আমরা লাশ পাইলাম না। আমরা দ্রুত লাশগুলো চাই। তাদের দ্রুত দাফন করতে চাই।’

কোনো কিছুতেই কান্না থামছে না জাহিদ আকন্দের। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। ঝর্না ও সন্তানদের নিয়েই ছিল তার সাজানো সংসার। মুহূর্তেই যেন তা এলোমেলো হয়ে গেল।

ভাগনি রিমা মনির বিয়ের দাওয়াত খেতে গত বৃহস্পতিবার জামালপুরের মেলান্দহের আগ পয়লা গ্রামের ঝর্না বেগম, জাহিদ আকন্দ এবং তাদের ২ বছরের ছেলে জাকারিয়া ও ৬ বছরের মেয়ে জান্নাত আশুলিয়া যান।

শনিবার বিয়ে শেষে বাড়ি ফিরে আসেন ইজিবাইক মিস্ত্রি জাহিদ। এরপর সোমবার বৌভাত শেষে আশুলিয়া যাওয়ার পথে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন।

তাদের মধ্যে ঝর্না বেগমের বাড়িতেই মেলান্দহে চলছে শোকের মাতম। দুই সন্তানসহ মায়ের এমন মৃত্যুতে হতবাক তাদের স্বজনসহ এলাকাবাসী। সব প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দ্রুত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা।

ঝর্না বেগমের স্বজন হাসনা বেগম বলেন, ‘সোমবার দুপুরে মারা গেছে, অথচ এখনও আমরা লাশ পাইলাম না। আমরা দ্রুত লাশগুলো চাই। তাদের দ্রুত দাফন করতে চাই।’

আরেক স্বজন কনিকা বেগম বলেন, ‘কোনো দিন কল্পনা করিনি, আমাদের আদরের ধন এভাবে মারা যাবে। এখনও আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না।’

এ ছাড়া ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি বিক্ষুব্ধ স্বজনদের।

ঝর্নার স্বজন আব্বাস মিয়া বলেন, ‘আমরা ঘটনার তদন্ত চাই। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার চাই। কয়েকজনের গাফিলতির জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। সোমবার ছিল বউভাত।

ছেলের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে মেয়ের বাড়ি আশুলিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিল। ছেলের বাবা রুবেল গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।

রুবেল ছাড়াও যারা মারা গেছেন তারা হলেন কনের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝর্না বেগম, ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর