রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডারের নিচে চাপাপড়া প্রাইভেট কার থেকে পাঁচটি মরদেহ পাওয়া গেছে। প্রথমে পুলিশ চারজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল।
এ ঘটনায় দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
যারা মারা গেছেন তাদের পুরো নাম পাওয়া যায়নি। এটুকু জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে আছেন ৫০ বছর বয়সী রুবেল, ২৮ বছর বয়সী ঝর্ণা, ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়া। বাকি এক মৃত ব্যক্তির নাম জানাতে পারেনি পুলিশ।
গাড়িচাপা পড়াদের উদ্ধারের সময় উৎসুক জনতার ভিড়। ছবি: সংগৃহীত
যে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়া মনি।
জসীম উদ্দীন মোড়ে প্যারাডাইজ টাওয়ারের সামনের সড়কে সোমবার বিকেলে ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপা পড়ে একটি প্রাইভেট কার।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, গার্ডারটি ক্রেন দিয়ে তোলার সময় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেটি তোলার সময় সেখানে কোনো নিরাপত্তা-বেষ্টনী তৈরি করা হয়নি, যে কারণে এই প্রাণহানির ঘটনাটি ঘটে।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (অপারেশন) পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি।’
ক্রেন কে চালাচ্ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচজনের নাম পেয়েছি। তবে কে ক্রেন চালাচ্ছিলেন সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
দুর্ঘটনার পর লাশ বহনকারী ব্যাগে ঢেকে রাখা হয়েছে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি। ছবি: সংগৃহীত
নিহতদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে জাহিদ হাসান শুভ নামে একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ভগ্নিপতির মেয়ের বিয়ে হয় গত শনিবার। তাদের ভগ্নিপতির বাড়ি কাওলায়। আজকে বৌভাত গেছে। আমরা মেয়ে-জামাইসহ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলাম।
‘ছেলের বাবা ড্রাইভ করছিলেন। ভাগনি আর জামাই জানলার সাইডে ছিল। ওদেরকে বের করা হয়েছে। ভেতরে আমার বোন ভাগনিসহ ৫ জন ছিল। সবাই স্পটে ডেড হইছে।’
ক্রেনের চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোহসীন। এই ঘটনায় ঠিকাদারি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এলেও সবকিছু এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।