বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘এসডিজি-এমডিজির দেখা মেলে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা, শিল্প, রাষ্ট্রনীতিতে’

  •    
  • ১৪ আগস্ট, ২০২২ ২২:৫৭

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন, কিন্তু সেই স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে সময়ের নেয়া শিক্ষা নীতি, শিল্প-বাণিজ্য নীতি, রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিলে; তার সেসব নীতির মাঝে আজকের এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা), এমডিজির (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) লক্ষ্যগুলোই দেখতে পাব আমরা।’

এসডিজি ও এমডিজির লক্ষ্যগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা, শিল্প-বাণিজ্য, রাষ্ট্র পরিচালনা নীতিতে দেখা যায় বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন, কিন্তু সেই স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে সময়ের নেয়া শিক্ষা নীতি, শিল্প-বাণিজ্য নীতি, রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিলে; তার সেসব নীতির মাঝে আজকের এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা), এমডিজির (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) লক্ষ্যগুলোই দেখতে পাব আমরা।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে রোববার দুপুরে এ আয়োজন ছিল।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ফলে বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরাই আমাদের সম্পদ ব্যবস্থাপনা-নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি, যার সুযোগ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুই। বাঙালির শত বছরের সংগ্রাম-ত্যাগের পর বঙ্গবন্ধুই দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।’

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, ধর্মীয়, নৈতিকদর্শনসহ সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের প্রশংসা করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।

করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুষ্ঠু রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন অধ্যাপক শিবলী। দেশের কৃষি, শিক্ষা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অতুলনীয় নেতৃত্বের গুণের মাধ্যমে দেশের সকল সমস্যার সমাধান করে চলেছেন।’

এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের নিহত সদস্যসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

জাতীয় শোক দিবসে সকলকে শহীদদের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস আলোচনা করেন।

অধ্যাপক সামাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের জন্য যেসব অবদান রেখেছেন, যা কিছু করেছেন; সেসব আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জানাতে হবে এবং ছড়িয়ে দিতে হবে।’

নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধুর আপোষহীন অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৪৯ সালে ২৭ জনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। যাদের ২৬ জনই মুচলেকা দিয়ে ছাত্রত্ব ফিরিয়েছেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই মুচলেকা দেননি, আপোষ করেননি।’

বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, আব্দুল হালিম, ড. মিজানুর রহমান, ড. রুমানা ইসলামসহ কমিশনের কর্মকর্তারা আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর