বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোহেল তাজকে নিয়ে দলে আলোচনা বাড়ছে

  •    
  • ১৩ আগস্ট, ২০২২ ২১:১২

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, ‘সোহেল তাজ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান। তিনি নিজেও যোগ্য। শিক্ষা, পরিবার এবং যোগ্যতা বিবেচনায় তিনি দলে পদ পেতেই পারেন। তবে দলীয় ফোরামে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’

দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজকে নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগে। তার বোন মাহজাবিন আহমদ মিমির ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্ট থেকে এ আলোচনার সূত্রপাত।

শাসক দলের নেতারা বলছেন, সোহেল তাজ আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তিনি সৎ ও যোগ্য। দলে পদ পেতেই পারেন। তাকে নিয়ে সংগঠনের ভেতরে আলোচনা আছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে তা বাড়ছে। তবে সংগঠনে তার পদ পাওয়া নিয়ে দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোহেল তাজ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান। তিনি নিজেও যোগ্য।

‘এর আগে দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। যে কোনো কারণে সেসব ছেড়ে দিয়ে তিনি আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন। এখন দলে কাজ করতে চাচ্ছেন। শিক্ষা, পরিবার এবং যোগ্যতা বিবেচনায় তিনি দলে পদ পেতেই পারেন। তবে পদ ছোট হবে না বড় হবে সেটা বলতে পারি না। তবে দলীয় ফোরামে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’

এমন স্ট্যাটাস দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহজাবিন আহমদ মিমি বলেন, ‘সোহেল (সোহেল তাজ) সব সময় আওয়ামী লীগে ছিল। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করার পরও দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। আওয়ামী লীগের প্রতিটি সম্মেলনেই সে উপস্থিত থেকেছে। দলে সক্রিয় হওয়ার বিষয়ে সে পরিবারে আলোচনা করেছে। আমরাও বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক মতামত দিয়েছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা বা তিনি কোনো ইঙ্গিত দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মিমি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহেলকে স্নেহ করেন। তিনি সবসময় চেয়েছেন সে দলে সক্রিয় থাকুক। নির্বাচনের আগে সবসময় একটা ষড়যন্ত্র হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তাই আমরা মনে করছি এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে যোগ্য, বিশ্বস্ত ও নিবেদিতদের থাকা প্রয়োজন।’

তাজউদ্দীন আহমদ-জোহরা তাজউদ্দীন দম্পতির ছোট সন্তান এবং সোহেল তাজের বোন মাহজাবিন আহমদ মিমি বৃহস্পতিবার রাতে তার ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিল অধিবেশনে তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ) দলীয় নেতৃত্বে আসছেন ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু! জয়তু শেখ হাসিনা!! বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

এই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। অফ লাইন-অনলাইন দুই মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক-অনুসারীরা এ বক্তব্যের মমার্থ খুঁজতে শুরু করেন। অনেকেই সোহেল তাজকে শুভ কামনা জানান।

নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দলীয় নেতাদের মধ্যেও এ নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলে। এমনকি ‘সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন’ শীর্ষক গণমাধ্যমে একটি রিপোর্টও হয়। সোহেল তাজ তার ফেসবুক পেজে সেই রিপোর্ট এবং লিংক শেয়ারও করেছেন। তার ফেসবুক পেজেও অসংখ্য মানুষ তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সম্মেলনের আগে এ ধরনের আলোচনা হওয়াটা স্বাভাবিক। কে দলে আসবে, কে বাদ যাচ্ছেন তা নিয়ে প্রতিবারই কথা হয়। কিন্তু সম্মেলনের এখনও অনেক দেরি। এখনই এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলার সুযোগ নেই।

জানতে চাইলে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘যিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি সোহেল তাজের বোন। ভাই বড় পদে থাকুক তারা সেটা চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে দলে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’

এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবন-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নিকট অতীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাজউদ্দীন পরিবারের কেউ দেখা করতে আসেননি। তবে তারা পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ। নিজেদের মধ্যে ফোনে যোগাযোগ আছে।

আওয়ামী লীগে পদ পাওয়া নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে সোহেল তাজ একটি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি দলের (আওয়ামী লীগের) জন্য সর্বদা প্রস্তুত আছি। যে কোনো পরিস্থিতিতে দল যদি মনে করে যে আমি অবদান রাখতে পারি, তাহলে আমাকে ডাকলে যাব। আমি আওয়ামী লীগের জন্য অতীতে প্রস্তুত ছিলাম, এখনো প্রস্তুত, ভবিষ্যতেও তৈরি থাকব।’

তাজ আরও বলেন, ‘আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তার জ্বলন্ত উদাহরণ পদ্মা সেতু। এখন প্রয়োজন মানবিক উন্নয়ন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের মানুষের একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চাচ্ছেন বলে আমি মনে করি। সেজন্য তার (প্রধানমন্ত্রী) পাশে যোগ্য ও নিবেদিত মানুষ প্রয়োজন, তাকে সহায়তা করার জন্য।’

সোহেল তাজের ছেড়ে দেয়া গাজীপুরের কাপাসিয়া আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য তার মেজ বোন সিমিন হোসেন রিমি। যিনি এর আগে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর