বরিশালের সন্ধ্যা নদীতে বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ দুই শ্রমিকের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
বানারীপাড়া উপজেলাধীন সন্ধ্যা নদীর খেজুরবাড়ি পয়েন্ট থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মরদেহটি উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
উদ্ধারের পর পুলিশ স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের মালিক হাবুল কাজী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত ৫৫ বছরের কালাম সাইজুদ্দিন পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার নান্দুহার এলাকার বাসিন্দা।
এখনও নিখোঁজ থাকা অপর শ্রমিক মিলনের সন্ধানে নদীতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাল্কহেডের মালিক।
সোমবার রাত ৯টার দিকে উজিরপুরের মীরের হাটসংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এমভি মর্নিং সান-৯ লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায় বালুবাহী বাল্কহেডটি। এতে নিখোঁজ হন বাল্কহেডের দুই শ্রমিক।
বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেটে যায় লঞ্চের তলাও। পরে লঞ্চটিকে উজিরপুরের বড়াকোঠা ইউনিয়নের চৌধুরীর হাট ঘাটে নোঙর করা হয়। আতঙ্কে তখন অনেক যাত্রী নেমে যান।
ঘটনার পর লঞ্চের যাত্রী জিয়াউর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা লঞ্চের ছাদে ছিলাম। লঞ্চটিও দ্রুতগতিতে চলছিল। এর মধ্যে দেখতে পাই আড়াআড়িভাবে আসা বালুবাহী একটা বাল্কহেড থেকে সেটার মাস্টার লাইট মেরে সিগন্যাল দিচ্ছিলেন।
এ সময় লঞ্চ ও বাল্কহেডটি প্রায় একই গতিতে চলছিল জানিয়ে এই যাত্রী বলেন, ‘একপর্যায়ে বাল্কহেডটি লঞ্চের মাঝখানে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।’
উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, ‘লঞ্চের ফেটে যাওয়া অংশ মেরামত শেষে রাত সোয়া ৩টার দিকে নিরাপদে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। তখন লঞ্চে শতাধিক যাত্রী ছিল।’
এ ঘটনায় এখনও কোনো পক্ষ মামলা করেনি বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী।